নিজস্ব প্রতিবেদক |
রাঙ্গুনিয়া থানার অন্তর্গত ১৫ নম্বর লালানগর ইউনিয়নের বাসিন্দা জসীমউদ্দিন বর্তমানে এলাকায় একটি আতঙ্কের নাম। এক সময় সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানকার এক নারীকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার কারণে সৌদি আরবে তার প্রবেশ স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে। বালু দস্যুতা: পরিবেশ ধ্বংস ও অসহায় পরিবারে হাহাকার দেশে ফিরে জসীমউদ্দিন ইচামতি খাল ও নদী সাগরপথে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তা ট্রাকে করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছেন। স্থানীয় লোকজন জানান, “সাইনবোর্ড লাগানো ট্রলার” ব্যবহার করে এসব অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তিনি। এতে আশপাশের গ্রামে নদীভাঙন ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং বহু পরিবারের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ধর্মের নামেও প্রতারণা: কাফেলার নামে ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ / স্থানীয় একজন ভুক্তভোগী সাজু সাহেব জানান, ওমরাহ হজে পাঠানোর ('কাফেলা') নামে জসিম তার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। পরে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কিছুই না করায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি আরজু সিকদার তাকে আটকে রাখেন ও অর্থ ফেরতের দাবি করেন। চোরাচালান চক্র: বছরে ৩-৪ বার দুবাই সফর, পাসপোর্টেই প্রমাণ/ তদন্তে উঠে এসেছে, জসীমউদ্দিন বছরে ৩ থেকে ৪ বার দুবাই (ডুবাই) সফর করেন, এবং সে সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল স্বর্ণ চোরাচালান। সূত্র মতে, তার পাসপোর্ট চেক করলেই এসব বিদেশ সফরের প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং সন্দেহজনক গতিবিধি পরিষ্কার হয়ে যাবে। ইয়াবা ব্যবসায় সম্পৃক্ততা: রাজনীতি থেকে বহিষ্কার/ এক সময় জসিম উদ্দিন ছিলেন উত্তর রাঙ্গুনিয়া প্রজন্ম দলের আহ্বায়ক। তবে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকেই তিনি পুরোপুরি অবৈধ ব্যবসা ও অপরাধজগতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। চোরাচালান চক্রে নারী হোতা: নাছিমা আক্তার / সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, জসীমউদ্দিনের অবৈধ স্বর্ণ ও চোরাচালান ব্যবসার মূল হোতা হিসেবে কাজ করছেন এক নারী — নাছিমা আক্তার। তিনি এই চক্রের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রক। নাছিমার নেতৃত্বেই দেশে ও বিদেশে স্বর্ণ চোরাচালানের যোগাযোগ এবং আর্থিক লেনদেন হয় বলে ধারণা। ব্যবসায়ী পার্টনার: নরসিংদীর থানারঘাটের গোপন সংযোগ / জানা গেছে, জসীমউদ্দিনের অবৈধ ব্যবসার একটি বড় অংশ পরিচালিত হয় নরসিংদী জেলার থানারঘাট এলাকার এক ব্যবসায়িক পার্টনারের মাধ্যমে। এ চক্রের মাধ্যমে স্বর্ণ ও মাদকপণ্য পাচার করা হয়। এলাকাবাসীর দাবি: তদন্ত হোক, ব্যবস্থা নিক প্রশাসন/ স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “আমরা ভয় আর ক্ষোভ নিয়ে বাস করছি। প্রশাসন যদি চুপ থাকে, তাহলে এমন অপরাধীরা আরও সাহস পাবে।”
তাদের দাবি, জসিম উদ্দিন, নাছিমা আক্তার ও পুরো চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
পরবর্তী পর্বে প্রকাশিত হবে: কারা এই চক্রের ছায়ায় অপরাধ সাম্রাজ্য চালাচ্ছে?
জসিমের দুবাই সফরের সম্পূর্ণ লেনদেন ও জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয়
প্রশাসনের ভূমিকা: নিষ্ক্রিয়তা না-কি গোপন মদদ?
রিপোর্ট প্রস্তুত: সিটিজি ক্রাইম নিউজ ডেস্ক আজগর আলি মানিক প্রধান সম্পাদক সিটিজি নিউজ।