জুলাই, আগস্টের বিপ্লবের মাধ্যমে পট পরিবর্তনের পর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় সমাবেশে প্রকাশ্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আগামী নির্বাচন হবে খুবই কঠিন।
নির্বাচনে আপাতদৃষ্টিতে বিএনপি ক্ষমতায় চলে এসেছে এমনটা ভাবলে দলের জন্য ক্ষতির কারণ হবে, এ জন্য দখল বাজি, চাঁদাবাজি এবং নানা রকম বিতর্কিত কর্মকান্ড থেকে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছিলেন জনাব, তারেক রহমান।
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ইমেজ যাতে কোনোভাবেই ক্ষুন্ন না হয়,সে জন্য হুঁশিয়ারি স্বরূপ কঠোর বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু তার নির্দেশনা উপেক্ষা করে সারা দেশে বিএনপির একটি অংশ বিতর্কিত কর্মকান্ড নিজেদের জড়িয়েছেন।
স্থানীয় পর্যায়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রভাবশালী এবং কিছু কেন্দ্রীয় নেতার শেল্টারে দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি এবং নানা রকম বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ায় ইতোমধ্যে দলের ইমেজ ক্ষুন্ন হয়েছে।
এ জন্য এসব নেতার তথ্য সংগ্রহ করছে বিএনপির একাধিক তদন্তকারী টিম।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব,তারেক রহমান কোনোভাবেই বিতর্কিত কাউকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেবেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
তারা বলেছেন, যারা তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করে দলের ইমেজ ক্ষুন্ন করছেন তাদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স।
তারা এলাকায় কিংবা দলে যত বড় প্রভাবশালীই হোকনা কেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের কোনোভাবেই মনোনয়ন দেবেন না তিনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য মতে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত নানা অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের তিন হাজার (২২৩) নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
যার মধ্যে মূল দলের নেতাকর্মীরাও রয়েছেন এক হাজার (৮০০) জন।
তাদের মধ্যে (৮০০) জনকে বহিষ্কার,(৫০)জনের পদ স্থগিত, (৭০০) জনকে কারণ দর্শানো নোটিস, (১০০) জনকে সতর্কবানী এবং (১৫০) জনকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের নোটিস দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে ছাত্রদলের প্রায় (৪০০) জন বহিষ্কার ও ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে কারণ দর্শানো নোটিস, স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্তত (১০০) জন নেতাকর্মী বহিষ্কার ও (১৫০) জনকে কারণ দর্শানো নোটিস দেয়া হয়েছে। যুবদলেরও দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বর্তমান অবস্থানও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
যাকে মনোনয়ন দিলে সাধারণ ভোটাররা খুশি হবেন, এমন প্রার্থীর হাতেই এবার নির্বাচনের চূড়ান্ত টিকিট তুলে দেবে বিএনপি।
এক্ষেত্রে কিছু মৌলিক নীতি অনুসরণ করা হবে।
এর জন্য দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে দলের মূলনীতি হিসেবে তিনটি যোগ্যতা অবশ্যই থাকতে হবে এবং এই যোগ্যতাই দলীয় প্রার্থীর ব্যক্তিগত সনদ- হিসেবে বিবেচিত হবে।
যার মধ্যে ১/ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই-সংগ্রামে দেশ ও দলের জন্য যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন, ২/ যিনি সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং এলাকার মানুষের কাছে একজন ভালো মানুষ হিসেবে সুপরিচিত এবং ৩/ ভোটের রাজনীতিতে যিনি তার এলাকায় বেশি জনপ্রিয়।
দলটির সিনিয়র ও দায়িত্বশীল, কেন্দ্রীয় নেতাদের একাধিক সূত্র যোগ্যতার এমন মাপকাঠির কথা নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া জানা যায়, এবারের মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে তরুণ প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পেতে পারেন।
আবার দলের বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে নবীন-প্রবীণের চমৎকার সমন্বয় ঘটিয়ে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে,তবে কোনোভাবেই চাঁদাবাজ এবং বিতর্কিত নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না।
৫ আগস্ট দেশের পট- পরিবর্তনের পর থেকেই নির্বাচনমুখী প্রস্তুতি শুরু করেন দলটির হাইকমান্ড। এরই মধ্যে অত্যন্ত গোপনে সারাদেশে একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ের জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।
আগামী দিনগুলোতে এবং নির্বাচনের পূর্ মূহুর্ত পর্যন্ত আরও কয়েকটি অরাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে পৃথকভাবে এই জরিপ পরিচালনা করা হবে।
এছাড়াও গত মার্চে আরেকটি অরাজনৈতিক বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে সারাদেশে লক্ষাধিক মানুষের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করে বিএনপি।
জরিপের তথ্য মতে, ইতোমধ্যেই সাংগঠনিক শাস্তি পুনর্বিবেচনা বা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায় দেড় হাজার আবেদন জমা পড়েছে।
এর মধ্যে প্রায় ২০০ আবেদন আছে যারা উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
তাদের অনেকের ক্ষেত্রে দলের স্থানীয় নেতারাও লিখিতভাবে কেন্দ্রকে জানিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত চালানো তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়া নেতাকর্মীর হার প্রায় ১৩ শতাংশ, এসব জরিপের বাইরে জনাব, তারেক রহমানের বিশ্বস্তদের দিয়ে গঠন করা হয়েছে একটি নির্বাচনী ডাটাবেজ সেল।
তথ্য মতে, বিগত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিষয়ে তথ্য ভান্ডার তৈরি করছেন।
ওই তথ্যের মধ্যে প্রত্যেক মনোনয়ন প্রত্যাশীর আমলনামা, সামাজিক অবস্থান ও মর্যাদা, জনসমর্থন, নেতাকর্মীদের সমর্থনছাড়াও প্রতিপক্ষ সম্ভ্যাব্য প্রার্থীর অবস্থান, জনসমর্থন, পরিচিতি এবং তার দুর্বল দিকগুলো উল্লেখ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে জনপ্রিয়তায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকা বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দুর্বল দিকগুলো উল্লেখসহ সেগুলো কিভাবে উত্তরণ ঘটানো যায় তার সুপারিশ করা হয়েছে সেখানে।
এর মধ্যে সাংগঠনিক দুর্বলতা, দলীয় কোন্দলকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা ৫ হাজারের মতো বহিষ্কার করেছি।
প্রয়োজনে আরও ৫ হাজার বহিষ্কার করবো, তার পরেও জিয়াউর রহমানের আদর্শেই বিএনপি চলবে।
এ দলে আমরা আর কোনো চাঁদাবাজ, দখলবাজ বিতর্কিত লোকদের স্থান দেব না।
সরাসরি চাঁদাবাজি করেছেন কিংবা চাঁদাবাজদের প্রমোট করছেন এমন লোক যত শক্তিশালীই হোক,আমরা কোনোভাবেই আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন দেব না।
তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বিএনপি তার স্বচ্ছ ইমেজ ধরে রাখার স্বার্থে অভিযুক্তদের কোনো ছাড় দেবে না। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শূন্য সহনশীলতা নীতিতে অটল বিএনপি,তবে যারা নিরপরাধ প্রমাণিত হবেন তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া সাংগঠনিক ব্যবস্থা তুলে নেওয়া হবে।
আর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তারা আগামী নির্বাচনে দলীয় কোনো টিকিট পাবেন না। সকল জরিপের তথ্য হাতে আসার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগের বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম জানিয়েছেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা হলো দলের ইমেজ ক্ষুন্ন করেছেন এমন নেতাদের তালিকা করে তাদের আগামী নির্বাচনে কোনোভাবেই দলের টিকিট দেওয়া হবে না ।
বিএনপি সাধারণ মানুষের ভালোবাসার একটি দল, তাই শহীদ জিয়ার আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় দলটি।
চাঁদাবজি, দখলবাজি এবং বিতর্কিত নেতাকর্মীদের বিএনপি কখনোই প্রশ্রয় দেবে না।
এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিএনপি প্রমোট করবে না।
শতাধিক ক্লিন ইমেজের প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে বিএনপি।
সূত্রমতে জানা গেছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ক্লিন ইমেজের শতাধিক নেতাকে নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য গ্রীন সিগন্যাল দিয়েছেন।
তবে তাদের মধ্যে যদি কেউ বিতর্কিত কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে থাকেন, তাহলে তাদের ক্ষেত্রেও কঠোর অবস্থানে যাবে দলটি,মানে তারা দলীয় মনোনয়ন পাবেন না।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভিডিও কলে অংশ নিয়ে যার যার এলাকায় কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষ হলে পর্যায়ক্রমে ৩০০ প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে এবং একই সঙ্গে সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন।
সবাইকে ভোটের কারচুপি, জালিয়াতি, কেন্দ্র দখল, ফল ছিনতাইসহ সব ধরনের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকমান্ড।
একই সঙ্গে নিজেদেরকে জনগণের কাছে আরও বেশি যাওয়ার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন,দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তিনি বলেছেন, জনগণই হচ্ছে বিএনপির শক্তি,সুতরাং জনগণের বিপদ আপদে কাছে থেকে তাদের সমর্থন আদায় করতে হবে।
জনাব,তারেক রহমান দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি দেওয়া এক নির্দেশনায় বলেছেন, সন্ত্রাসী-অপরাধীদের কোনো দল নেই,এদের কাউকেই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
এরা যে দলেরই হোক না কেনো তাদের ধরে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।
পাশাপাশি দল এবং অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের নেতাদের কঠোরতার সঙ্গে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে এবং সবাইকে মনে রাখতে হবে যে,বিএনপি শতভাগ একটি গণতান্ত্রিক দল।
আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিবাদে বিশ্বাস করে না। এ ক্ষেত্রে দল ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের কমিটির নেতা-কর্মীদের কর্মকান্ডের দায় সংশ্লিষ্ট কমিটির নেতাদেরই নিতে হবে।
তরুণ নেতৃত্বকে প্রাধান্য দেয়ার বিষয়ে, নির্বাচনী সেলের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন জানিয়েছেন,এবারের নির্বাচনে তরুণ নেতাদের একটু বেশি প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে।
যেসকল নেতাকর্মীরা বিগত দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন, এবং এলাকায় যাদের পরিচ্ছন্ন অবস্থান রয়েছে, এবং বিগত দিনে মামলা-হামলায় ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন, সবসময় নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন, এমনকি দলের প্রতি শতভাগ আনুগত্য পোষণ করেছেন তারা এবারের নির্বাচনে অনেক বেশি এগিয়ে থাকবেন।
তাছাড়া বিএনপি যদি ক্ষমতায় যেতে পারে, সেক্ষেত্রে যারা দলের সুনাম ক্ষুন্ন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে দলটি।
চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব কিংবা দেশ ও জনগণের জন্য ক্ষতিকারক এমন কোনো কাজ করলে যত বড় নেতা বা প্রভাবশালীই হোক না কেনো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি।
প্রয়োজনে তাদেরকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, বিএনপি চায় এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যেখানে জনগণের শাসন থাকবে।
কেউ কারও ওপর জুলুম করবেনা,অন্যায় করবেনা, কোনো প্রকার দখল বাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, দূর্নীতি এবং দলের কোনো নেতাকর্মী যদি বিতর্কিত কোনো কাজ করেন, তাহলে তাদেরও কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
বিতর্কিতদের চাননা জেলা পর্যায়ের নেতারাও, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা তৃণমূলে যখনই কোনো অনিয়ম ও বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ পাই, তখনই তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
ইতোমধ্যে অসংখ্য নেতাকর্মীকে শোকজ এবং বহিষ্কার করেছি, তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা চাই সারা পরিচ্ছন্ন এবং ভালো ইমেজের প্রার্থীরা মনোনয়ন পাক।
ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দিলে আশা করি বিএনপি বিপুল ভোটের ব্যবধানে ক্ষমতায় যাবে। ভোলা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম জানিয়েছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন সৎ এবং ক্লিন ইমেজের রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন।
আমরা তার আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করি। আমরা আশা করি ক্লিন ইমেজের নেতারাই আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবেন এবং এটিই হলো দেশব্যাপী সকল তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রাণের দাবি।