এসএম মিরাজ হোসাইন টিপুঃ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কাগজপত্র বিহীন জমি, বিডিএস জরিপে অন্তর্ভূক্ত না করায় ছাত্রজনতার সহযোগীতায় মব সৃষ্টি করে ভূমি জরিপ কর্মকর্তাদের ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয় মব সৃষ্টিকারী তাজুল ইসলাম।
পরবর্তীতে মামলাটির সত্যতা প্রমানিত না হওয়ায় মামলা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালত।
উল্লেখ্য যে গত ২৩ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জের সিআই খোলার স্থায়ী বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে, বিবাদী ১/ মো, নজরুল ইসলাম, ২/ মো,জহিরুল ইসলাম, ৩/ মো,মীর হোসেন,৪/ মো,আব্দুল হাতেম,৫/ মো,ছগীর হোসেন,৬/ মো,জহিরুল হক, ৭/ মো,রূহুল আমিন,৮/ শফিকুল ইসলাম ৯/ আঃসাত্তার,১০/ মো,জহির ১১/ মো,রবিউল ইসলাম,১২/ মো,আনিসুর রহমান,১৩/ মো,মাহাবুব আলম,১৪/ মো,শামীম রেজা ১৫/ মো,মাহাবুব হাসান,১৬/ মো,মহসিন আলী সরদার সহ আরো ৫ জন মোট ২১ জনকে বিবাদী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বাদী তাজুল ইসলাম।
উক্ত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়যে,
১ নং বিবাদী ও ২০ নং বিবাদী গত ২৩/০৭/২০২৫ ইং তারিখে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন হিরাঝিল গিয়াস উদ্দিন ইসলামি মডেল স্কুলে বিডিএস জরিপের কাজে তাহাদের আরোও ১৮ জন সার্ভেয়ার পরস্পর যোগসাজশে এলাকার স্থানীয় তাজুল ইসলাম সহ আরোও বাড়ির মালিকদের নিকট বিভিন্ন কলা কৌশলে টাকা-পয়সা দাবী করে আসছিলো ভূমি জরিপ কর্মকর্তারা।
টাকা না দিলে তাহাদের বাড়ীর দাগ পরিবর্তন করিয়া দিবে এবং তাহাদের জমির উপর দিয়া রাস্তার জায়গা বাহির করিবে মর্মে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী ধামকী প্রদান করতঃ মোহাম্মদ আলী, মোঃ তাজুল ইসলাম এবং জনৈক মিঠু সাহেব সহ এলাকার আরোও অন্যান্য বাড়ীওয়ালাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা পয়সা গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে তাহাদের সহিত কর্মরত আরো ১৮ জন সার্ভেয়ার পরস্পর যোগসাজশে অত্র এলাকার লোকজনদের নিকট ঘুষ চায়।
উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতা একত্রিত হয়ে ২ জনকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন।
পুলিশ উত্তেজিত ছাত্রজনতাকে শান্ত করতে তাদেরকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত উক্ত বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাসহ অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাসহ অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা উক্ত বিষয়ের কোনো সত্যতা খুজে না পেলে ১৭ আগস্ট মাননীয় আদালত মামলার বদীকে মামলাটি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলে বাদী মামলাটি প্রত্যাহার করেন।
সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাই করতে গেলে এলাকার স্থানীয়রা জানান, প্রকৃতপক্ষে কিছু সুবিধাবাদী প্রভাবশালী লোক এলাকার বিভিন্ন সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন।
তাদের জমির কোনো প্রকার বৈধ কাগজপত্রই নাই, তারা জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া জরিপে তাহাদের ঐ দখলকৃত জমি অন্তর্ভুক্ত করতে গেলে, জরিপ কর্মকর্তারা তাহাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র চাইলে তারা দিতে ব্যর্থ হন।
যার কারণে জরিপ কর্মকর্তারা তাহাদের জমি বিডিএস জরিপে অন্তর্ভুক্ত করতে অস্বীকার প্রকাশ করলে, তারা উক্ত বিষয়টি নিয়ে জরিপ কর্মকর্তাদের হয়রানী করতে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতাকে ভুল বুঝিয় এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করে ভূমি জরিপের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর মব সৃষ্টি করেন।
এলাকার নিরীহ স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত এই সকল অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সরকারের ভূমি আইন অনুযায়ী সঠকি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করে প্রতিটি এলাকার সরকারি ভূমি দখল মুক্ত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার সংশ্লিষ্ট ভূমি মন্ত্রণালয়।
Tags
নারায়ণগঞ্জ