মো: লুৎফর রহমান (খাজাশাহ্): ডিএমপি কোতয়ালী থানাধীন ২নং কুমারটুলী আকলিমা গোল্ড কমপ্লেক্সের নীচ তলায় বাহার ফটোষ্ট্যাট ব্যবসায়ী মো: শাহীন (৪১) বিগত ১৯ জুলাই রাত ১.৩০মিনিট দোকান বন্ধ করার সময় অজ্ঞাত নামা আসামীরা তাকে অপহরণ করে মর্মে তার আপন বড় ভাই মোঃ মানিক (৪৮) পিতা- মো: আবদুর রহিম, সাং- দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী (বিদ্যুৎ গলি) থানা- যাত্রাবাড়ী জেলা: ঢাকা, ডিএমপি কোতয়ালী থানায় উল্লেখিত বিষয়ে এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ কবেন যে, গত ১৮-০৭-২০২৫ইং ভোর অনুমান ৪:৩০মিনিট এর সময় শাহীন-(৪১)এর শালক মো: আকাশ (২১) এবং শাহীন এর শশুর উভয় সাং-লালমহোন ষ্ট্রীট, থানা: ওয়ারী, ঢাকা ও সাইদ (৩৪) পিতা- অজ্ঞাত, সাং-দক্ষিণ মুসন্দী, ঢাকা সহ ২/৩জন পারিবারিক বিরোধের কারণে শাহীনের সাথে বিরোধের তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে টানা হেচড়া করতে দেখা যায় এবং মো: আকাশ ছুরি হাতে নিয়ে শাহীন কে ভয়ভীতি সহ অপহরণের হুমকি দিয়ে ছিল এতে মামলার বাদী সন্দেহ করেন যে, উল্লেখিত ব্যক্তিগণ তার ভাইকে অপরহণ করে আটক করিয়া রাখিয়াছে। উল্লেখিত বর্ণনা দিয়ে কোতয়ালী থানায় মো: মানিক (৪৮) বাদী হয়ে মামলা নং-২৭, তাং-৩০-০৭-২০২৫ইং ধারা-৩৬৫/৩৪দ:বি: দায়ের করিলে থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুজ্জামান মামলাটি থানাধীন বাবু বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. সোহেল কুদ্দুসকে তদন্তভার প্রদান করেন। এ ব্যাপারে এসআই সোহেল কুদ্দুসের সাথে সাক্ষাতে বিস্তারিত জানার জন্য তার কর্মস্থল থানাধীন বাবু বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে গেলে তার অবর্তমানে কর্মরত ফাঁড়ির এ এস আই মোঃ জাকারিয়া জানান, উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ সোহেল কুদ্দুস মামলার ১দিন পর মামলায় বর্ণিত ঘটনান্থলের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ভিকটিমকে উদ্ধারের অভিযান চালায় এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতাররের অভিযান চালিয়ে মামলায় এজাহার নামীয় মোঃ নাছির উদ্দিন ও আকাশকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে ৫দিনের রিমান্ড চাইলে বিজ্ঞ আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরই মধ্যে বিগত ৪ আগস্ট শাহীন কে মৃত অবস্থায় ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন কমলাপুর থেকে শাহীনের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশ। অতপর রেলওয়ে পুলিশের এস আই মোঃ শামীম হোসেন শাহীনের লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করে লশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এব্যপারে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর শাহীনের মৃত্যুর কারণ ও বিস্তারিত জানা যাবে বলে অভিজ্ঞ মহলে অভিমত। উল্লেখ্য যে, এব্যপারে শাহীনের সুরত হাল রিপোর্ট প্রস্তুত কারক রেলওয়ে থানার এস আই মোঃ শামীম হোসেন এর সাথে দুই দিন স্বাক্ষাতের চেষ্টা করিয়া এবং গত ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধা ৭:৩০ মি: এর সময় তার মোবাইল ০১৭০৮৩৯২১২৯ নাম্বারে যোগাযোগ করেও তাহাকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে এ প্রসঙ্গে গত ২৩ আগস্ট দৈনিক ইনকিলাব সংবাদপত্রে ১২পৃ: (শেষের পাতার) ৫এর কলামে মামলা তদন্তের ভার সিআইডিতে, পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ায় শাহীনকে হত্যাকরেছে অপহরণকারী চক্র শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ সোহেল কুদ্দুস সম্পর্কে সমালোচনা করা হয়। ইতিমধ্যে মামলার বাদী বিজ্ঞ সিএমএম আদালতে মামলাটির বিষয়ে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ বিচারক বিগত ২০-০৮-২৫ইং মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের জন্য হস্তান্তরের আদেশ প্রদান করেন কোতয়ালী থানার পুলিশকে।
Tags
ঢাকা