ঝিনাইগাতীতে গরু পালন করে বেকার যুবকের এখন বছরে আয় ১২ লাখ টাকা


গোলাম রব্বানী টিটু, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া বাজারে গরু লালন পালন করে বছরে ১২ লাখ টাকা আয় করেন শিক্ষিত বেকার কাউছার আহাম্মেদ। সে ২০১৬ সালে বিএ পাশ করে যখন বেকারের অভিশপ্ত জীবন নিয়ে দিনাপাত করে তখন সরকারী বা বে সরকারী চাকরী খুঁজে না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। সে সময়ে কৃষি কাজে স্বপ্ন দেখা শুরু করলে একটি অস্টেলিয়ান ফ্রিজিয়ান গাভি ক্রয় করে ২০১৭ সালে শুরু করেন লালন পালনের কাজ। ওই গাভি থেকেই দুধ ও বাচ্চা দিয়ে শুরু হয় তার আয়ের উৎস। এ থেকে তাকে আর পিছু হটতে হয়নি তার। এখন বর্তমানে তার ফার্মে ২৫টি গরু আছে এ থেকে প্রতিদিন ১০টি গাভি দুধ দেয় প্রায় ২৫০ লিটার। আরো অনেক বাচ্চা বিক্রি করেছেন।

কাউছার আহাম্মেদ জানায়, আমার ফার্ম করা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। প্রতিদিন ফার্মে যে খরচ হয় তা মিটিয়ে বছরে ১২ লাখ টাকা আয় থাকে এ দিয়ে আমার ৫ পরিবারের সংসারে আলোর মুখ দেখেছি। উপজেলার গাভীর খামার ৭৫টি ছাগলের ১৭টি, ভেড়ার ১১টি, লেয়ার ৩০টি হাসেঁর ২৩টি ও ব্রয়লার ১৪৫টি খামার আছে বলে প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে । এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: এ,টি,এম ফায়েজুর রাজ্জাক আকন্দ জানান এই উপজেলায় বেকারের একটি সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে খামারের দিকে ঝুঁকে পড়লে বেকারত্বের সমস্যা সমাধান হবে ।

অন্যদিকে উপজেলার প্রাণী সম্পদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । এখানের চাহিদা মিটিয়ে বাহিরের জেলায় রপ্তানী করতে পারবে । খামার করে যেমন নিজে ও পরিবারের সফলতা আসবে অন্যদিকে দেশে অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখতে পারবে তরুণ যুবকরা । প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে সার্বিক পরামর্শ সহ অন্যান্য সুযোগ সূবিধা প্রদান করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন