অবশেষে র‍্যাবের উপর হামলায় জড়িত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাহেব আলী গ্রেফতার


এসএস মিরাজ হোসাইন টিপুঃ

র‌্যাবের ওপর হামলায় পলাতক, নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাহেব আলীকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ থানার মান্নানঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত সাহেব আলী সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আটি ওয়াপদা কলোনী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। 

তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি, নারী নির্যাতন, মাদকব্যবসা ও এলাকার বিভিন্ন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে চাঁদাবাজি সহ সকল ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের বউ বাজার এলাকায় সাহেব আলীকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায় র‌্যাব-১১ এর একটি দল।

অভিযানের সময় সাহেব আলীর নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী বাহিনী র‌্যাব সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে র‌্যাবের চারজন সদস্য আহত হন,এবং হামলার সুযোগে সাহেব আলী পালিয়ে যায় তখন থেকেই সে পলাতক ছিলো।

রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা প্রদান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনসহ ওই হামলার ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে সাহেব আলীর বিরুদ্ধে। 

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাহেব আলী নিজের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা, ইভটিজিং ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতে এলাকায় শোডাউন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিলো। 

কেউ তার এই সকল অপরাধের  প্রতিবাদ করলে, তার বাহিনী দিয়ে তাকে অমানুষিক নির্যাতনসহ বাড়িঘরে ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করতো।

এর আগে ৬ অক্টোবর র‍্যাব-১১ গাজীপুরের গাছা থানাধীন চান্দুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাহেব আলীর স্ত্রী, ছেলে ও চার সহযোগীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং 

তাদের কাছ থেকে ডাকাতি পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত খেলনা পিস্তল, শাবল, জাতীয় পরিচয়পত্র ও একাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সাহেব আলীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ২০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে ৭টি, মাদক মামলা ২টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১টি, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও নাশকতার মামলা ৩টি, রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা ৫টি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছদ্মবেশে ডাকাতির মামলা রয়েছে ২টি। 

বর্তমানে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী সকল প্রকার আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-১১।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন