হাফেজ নজরুল :
অসহায় তিন নারীর জীবনে আশার আলো জ্বেলে দিলেন কুমিল্লা–৩ (মুরাদনগর) আসনের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও পাঁচবারের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখলেন কর্মে, নয় কথায়—আজ মঙ্গলবার তার পক্ষ থেকে ওই তিন নারীর হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন সেলাই মেশিন। আরেকজন গৃহহীন নারী পাচ্ছেন দৃষ্টিনন্দন ঘর।
সেলাই মেশিন হাতে পেয়ে আবেগে চোখে জল আসে তাছলিমা আক্তার, সুমি আক্তার ও লিপি আক্তারের। জীবনের নানা অভাব-অসহায়তা সত্ত্বেও আজ তারা পেলেন নিজের পরিশ্রমে বাঁচার নতুন পথ।
তাছলিমা কণ্ঠ ভার করে বলেন, “আমরা ভাবিনি কেউ আমাদের খবর নেবে। আজ মনে হচ্ছে, নতুন করে বাঁচার সাহস পেলাম।”
এদিকে গৃহহীন হাসিনা বেগমের জন্য শুরু হয়েছে ঘর নির্মাণের কাজ, যেখানে তিনি অবশেষে পাবেন নিরাপদ আশ্রয়।
অসহায় চার নারী হলেন—সুমি আক্তার (পায়ব পশ্চিমপাড়া, ১৭ নং জাহাপুর), তাছলিমা আক্তার (দারোরা, ১৯ নং ইউনিয়ন), গৃহহীন হাসিনা বেগম (কাজিয়াতল মুন্সী বাড়ির পাশে, ১৯ নং দারোরা) এবং লিপি আক্তার (লক্ষ্মীপুর গ্রামের মান্নানের বাড়ি, ১৬ নং ধামঘর)।
এই নারীদের জীবনসংগ্রামের গল্প প্রথম প্রকাশ করেন স্থানীয় সাংবাদিক মোহাম্মদ শরিফুল আলম চৌধুরী। তার প্রতিবেদনের সূত্র ধরে কায়কোবাদ সাহেব ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে প্রতিশ্রুতি দেন সহায়তার।
এই প্রতিশ্রুতির জন্ম ‘জনতার খোশগল্প’ নামের এক মানবিক আড্ডা থেকে। গত সোমবার মুরাদনগরে অনুষ্ঠিত সেই আড্ডায় রাজনীতি, উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও তরুণদের কর্মসংস্থান নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়। সেখানে কায়কোবাদ সাহেব বলেন, “রাজনীতি মানে শুধু ক্ষমতা নয়—এটি মানুষের প্রতি ভালোবাসা, দায়বদ্ধতা ও পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি।”
তার সেই কথার বাস্তব প্রমাণ মিলল আজ—তিন নারীর হাতে সেলাই মেশিন আর এক নারীর জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ঘর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ দুলাল সরকার (যুগ্ম আহ্বায়ক, মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি), মোঃ মাসুদ রানা (সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, মুরাদনগর উপজেলা যুবদল), সৈয়দ হাসান আহম্মেদ (সদস্য সচিব, মুরাদনগর উপজেলা যুবদল), মোঃ ফারুক আহমেদ বাদশা (সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, মুরাদনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল), মোঃ আলমগীর হোসেন (সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদল), মোঃ মাসুম মুন্সী (আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য, মুরাদনগর উপজেলা যুবদল), মোঃ রমিজ উদ্দিন মেম্বার (আহ্বায়ক, ১৯ নং দারোরা ইউনিয়ন যুবদল), কবির হোসেন, মোঃ সুমন ও নাহিদুল নাঈম (ছাত্র আন্দোলন নেতা, মুরাদনগর উপজেলা)।
মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বেলে কায়কোবাদের এই উদ্যোগ মুরাদনগরে এনে দিয়েছে নতুন অনুপ্রেরণা। স্থানীয়দের ভাষায়, “কায়কোবাদ সাহেব দেখিয়েছেন—জনতার গল্প থেকেও জন্ম নিতে পারে পরিবর্তনের গল্প।”
