লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধি:
লক্ষীপুর কমলনগর উপজেলায় চর লরেন্স ইউনিয়নের নবীগঞ্জ এলাকায়, সওদাগর এন্ড সাত্তার ট্রেডার্স, ও মেসার্স নাহিদ ট্রেডার্স, বালুউত্তোলন করার গদি (ব্যবসা) গড়ে তোলার কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বালু বোঝাই করে ড্রাম ট্রাক পরিবহনের কারণে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়ছে গ্রামীণ পাকা সড়ক। ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আবার সামান্য বৃষ্টি হলে সড়ক ভাগাড়ে পরিনত হয়ে মানুষকে ঘরে আবদ্ধ থাকতে হচ্ছে। সড়কটি শুস্ক মৌসুমে ধূলোময় ও বর্ষার মৌসুমে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে।
বালু সরবরাহের কাজে নিয়োজিত ড্রাম চলাচলের কারণে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। শুস্ক মওসুমে বালুর গদির ড্রাম ট্রাক চলার কারণে ধুলোময় হয়ে যায় পুরো এলাকা, আর এ বালু সরবরাহের জন্য রয়েছে একশ্রেণির দালাল, তারা চুক্তিতে বালু গদি গুলোতে থেকে বালু বিক্রি করে থাকে। বালুর গদি থেকে বালু বোঝাই করে গ্রামের কাঁচাপাকা সড়ক দিয়ে পৌঁছে দেয় । একই সড়কে একাধিক ট্রাক অনেক দিন ধরে চলাচলের কারণে দু'দিকে নালার সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি সড়কে মাত্রাতিরিক্ত ধুলাবালির সৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও ভেঙে অথবা ধসে গিয়ে সরু হয়ে যাচ্ছে সড়ক।
চর লরেন্স ইউনিয়নের চরলরেন্স থেকে পশ্চিমে নবীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটারের একটি পাকা গ্রামীণ সড়ক রয়েছে। বর্তমানে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গ্রামীণ পাকা সড়কে দশ টনের বেশি ওজনের মালবাহী ট্রাক চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও বালুভর্তি এক হাজার ফুট ড্রাম ট্রাক দিয়ে প্রতিদিন পরিবহন করা হচ্ছে। ফলে চর লরেন্স ও চর কালকিনি ইউনিয়নের মধ্যে সংযুক্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই এলাকায় স্থাপিত মধ্য চর লরেন্স সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশরাফুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা এবং কাদের পন্ডিতের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে। ভারি ট্রাক পরিবহনের কারণে এসব সড়কের যাতায়াত করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন ভারি ট্রাকবোঝাই করে বালু নেয়া হচ্ছে। সড়কটি বর্তমানে ট্রাকের চাকায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়াও ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা দিয়ে রাতের অন্ধকারে বালু নেওয়ার ফলে ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে বালু বহন করার কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মেসার্স নাহিদ ট্রেডার্সের প্রো: ইমরান হোসেন মিলন ভান্ডারী জানান, রাস্তাটি দিয়ে সুধু আমাদের কোম্পানির গাড়ী একা চলে না। এই রাস্তা দিয়ে লোকাল গাড়ী, প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে বালি ও মাঠি নেওয়া হয়। যার ফলে রাস্তাটি বেশি নস্ট হচ্ছে। অন্যদিকে সওদাগর এন্ড সাত্তার ট্রেডার্স এর প্রো:মোখলেসুর রহমান এবং আব্দুস সাত্তার, জানান আমরা রাস্তা নষ্ট করি ঠিক আছে, সরকার চাইলে বন্ধ রাখবো
উপজেলা প্রকৌশলী জানান, গত এক বছর আগে ৬৬ লাখ টাকার ব্যয়ে রাস্তাটি মেরামত করেছি,গাড়ির চাপে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সড়কটি,গ্রামীণ পাকা সড়কে ৮/১০ টনের বেশি ওজনের মালবাহী ট্রাক চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও বালু উত্তোলনকারী গদির ড্রাম ট্রাক দিয়ে প্রতিদিন বালু পরিবহন করা হচ্ছে। ফলে ভাঙ্গচুরা রাস্তায় যানবাহন ও সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

