মাগুরার মহম্মদপুরে হয়ে গেল শত বছরের ঐতিহ্যবাহি নৌকা বাইচ ও গ্রামীণ মেলা


মোঃ সাইফুল্লাহ ,মাগুরা

মাগুরা মহম্মদপুরে ঝামা বাজারের মধুমতি নদীতে শুক্রবার বিকেলে হয়ে গেল শত বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ ও গ্রামীণ মেলা। 

কাঁসার ঘণ্টার তালে তালে আর বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছিলো একে একে নৌকাগুলো। চড়ন্দারের ঘন্টার তালে তালে মাঝি মাল্লার বৈঠার ছন্দে ছন্দে যৌবন ভরা  মধুমতি নদীর বুকে ছুটে চলছিলো রকেট, জলপরি, লালন শাহ, সহ নানা নামের বাহারি নামের নৌকা।

মাঝি- মাল্লাদের হৈ হৈ রবে নেচে ওঠে মধুমতি নদীর দুই তীর। বৈঠার ছন্দে ছন্দে তুমুল গতিতে চলছিলো অন্যকে অতিক্রম করার প্রতিযোগিতা।

লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ- মাঝি-মাল্লাদের রং-বেরঙের এসব পোশাকই বলে দেয় মাগুরা মধুমতি নদীতে কতটা জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঝামা ঐতিহ্যবাহি নৌকা বাইচ ও মেলার উংসব।

শুক্রবার বিকেলে মাগুরা মহম্মপদুর উপজেলা ঝামা মধুমতি নদীর ঘাট থেকে শুরু হয়ে ঝামা ফেরি ঘাটে গিয়ে নৌকা বাইচ শেষ হয়।

নান্দনিক এই  দৃশ্য দু’চোখে অবলোকন করে পুরো আনুষ্ঠানিকতা উপভোগ করতে সকাল থেকেই গড়াই নদীর দুই তীরে জড়ো হয় মাগুরা,ফরিদপুর, রাজবাড়ী, নড়াইল ঝিনেদাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার লক্ষাধিক মানুষ। নৌকা বাইচ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা ।

নানা বয়সী নারী –পুরুষ ও শিশু কিশোদের সরব উপস্থিতি আর উপচে পড়া ভীড় দেখা যায় এই মেলায়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয়া দুর্গা পূজার মধ্যে এই আয়োজন পূজার আনন্দকে আরোও বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মতামত ব্যাক্ত করেছেন অনেকে।

বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। চড়ন্দারের ঘণ্টার টং টং আওয়াজের সাথে তালে তাল মিলিয়ে বাইচেরা বইঠা টানেন হেলেদুলে। এই নৌকা বাইচের নান্দনিকতা উপভোগ করতে গড়াই নদীর দুই পাড়ে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে হাজার হাজার দর্শেকের সরব উপস্থিতি নৌকা বাইচের আনন্দকে ছাঁপিয়ে দেয় ।  

শত বছরের এই ঐতিহ্যবাহি ঝামা মেলা ও নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদি দল বি এন পি'র ভাইচ চেয়ার ম্যান নিতাই রায় চৌধুর বলেন- বাঙালীর চিরায়ত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার জন্য এবং মানুষের মধ্যে  সুস্থ ধারার বিনোদন দিতে এই নৌকা বাইচ ও  গ্রামীণ মেলার আয়োজন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন