-কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ
কুমিল্লা (মুরাদনগর) থেকে ফিরে মো: লুৎফর রহমান (খাজা শাহ্) : আমরা (বিএনপি) যদি ক্ষমতায় আসতে পারি যারা জেল খেটেছে, মামলা খেয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন তাদের প্রতিদান দিব ইনশাআল্লাহ এবং তাদের সম্মানি দেওয়া হবে। গত শনিবার কুমিল্লা জেলাধীন মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন কুমিল্লার মুরাদনগরের সাবেক পাঁচবারের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ,
তিনি তার বক্তবে বলেন আমি যা গড়েছি, আওয়ামীলীগ সরকার গত ১৭ বছরে সংস্কারও করতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন আমি তো আপনাদের কামলা। মুরাদনগরের গরীব মহিলা পুরুষ হচ্ছে আমার নেতা। আমি তাদের কামলা হয়ে মুরাদনগরে আছি এবং থাকতে চাই। আপনারা আমাকে ৫ বার নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। ৩য় বার যখন নির্বাচন হয় তখন হাসিনা ছিল সরকার। সে ঢাকা থেকে বড় বড় সন্ত্রাসী এনেছিল নির্বাচন বানচাল করার জন্য। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তারা কিছুই করতে পারে নাই।
তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে আপনারা আমাকে বিএনপি থেকে নির্বাচিত করেছেন। ২০০৮ সালে নির্বাচনের সময় আমি হজ্বে চলে যাচ্ছিলাম। তখন সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল আপনি চলে গেলে নির্বাচন করবে কে। তখন আমি বলেছিলাম পাশ করানোর দায়িত্ব আমার আল্লাহর। তিনি আমাকে দেখবেন। তারপর আমি হজ্ব থেকে নির্বাচনের মাত্র ৮ থেকে ৯ দিন আগে ফিরে এসেছিলাম। ফিরে এসে মাত্র কয়েকটা ইউনিয়নে গিয়েছিলাম। আমার আল্লাহ আমাকে সেই নির্বাচনে জয়ের মালা দান করেছেন।
কায়কোবাদ বলেন, সামনে নির্বাচন আসছে। নির্বাচনকে ঘিরে একটি ইসলামী দল অংশ নিয়েছে এবং অনেক দল অংশ নিবে। সেখানে জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন জায়গায় বিএনপিকে নিয়ে নানা কথা বলে বেড়াচ্ছে। আমি জামায়াতকে প্রশ্ন করতে চাই, শেখ মুজিব যখন বাকশাল করে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল তখন আপনাদেরকে রাজনীতির সুযোগ দিয়েছিল কে? আপনাদের রাজনীতি করার সুযোগ
ফিরিয়ে দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। অথচ আপনারা এখন সেই বিএনপিকে নিয়ে মোনাফেকি করছেন, মোনাফেকি করা ঠিক নয়।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে তারা আওয়ামী লীগের সাথে মিশে আওয়াম লীগকে ক্ষমতায় এনে দিয়ে নিজেরাই বিপদে পড়েছিল। তাই ২০০১ সালে বেগম জিয়া তাদেরকে আমাদের সাথে এনে ১৮টা সিট দিয়েছিল। যা এখন পর্যন্ত তারা কখনো পায় নাই। তারা এতটা অকৃতজ্ঞ হবে ভাবতেও পারি নাই। তাদের দুইজনকে মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন বিএনপি সরকার। এই সুযোগে তারা নিজেদের দলকে সংগঠিত করেছে। যাদের কারণে এমন সুযোগ পেয়েছেন তাদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়। তিনি আরো বলেন, আপনারা সাবধানে থাকবেন। তারা অনেক কথা বলবে, অনেকভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবে। তারা যখন ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে আসে তাদেরকে প্রশ্ন করবেন, তারা কোরআন হাদিস অনুযায়ী চলে কি-না। তাদের পরিবারকে ইসলামী নিয়মে চালায় কিনা? মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জনের সভাপতিত্বে ও শ্রীকাইল ইউিনিয়ন সেচ্ছাসবক দলের সদস্য সচিব নাজমুল হাসান ও শ্রীকাল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. এনামুল হকের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শ্রীকাইল ইউিনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইসাহাক মুন্সী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কুমিলা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া। বিএনপর কুমিল্লা বিভাগীয় সহ সাংগঠিনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া। কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. আক্তারুজামান সরকার। কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনিপর সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী।
আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনিপর আহবায়ক সদস্য মোল্লা গোলাম মহিউদ্দীন। মুরাদনগর উপজেলা বিএনিপর সদস্য সচিব মোল্লা মজিবুল হক। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. কামাল উদ্দীন ভূইয়া সহ আরো অনেকে।
