“মৎস্য খাতে নতুন উদ্যম—মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ কর্মকর্তাদের ব্যতিক্রমী গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন”


নিজস্ব প্রতিবেদক: মোঃ জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মৎস্য কর্মকর্তাদের সংগঠন ফিশারিজ এক্সিকিউটিভ অ্যাসোসিয়েশন, মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ–এর উদ্যোগে ২০২৫ সালের গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। র‌বিবার (১৬ নভেম্বর ২০২৫) মাগরিবের নামাজের পর থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলের মৌলভীবাজার রোডস্থ একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টে জমকালো আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ফিশারিজ এক্সিকিউটিভ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাজহারুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ডঃ আরিফ হোসাইন ও প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফিশারিজ এক্সিকিউটিভ এসোসিয়েশন সাধারণত সম্পাদক মোঃ রাশেদুজ্জামান দীপু।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, শুভ্র সরকার, শ্রীমঙ্গল উপজেলা। বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আবু নাঈম, ফিরোজ আহমেদ, ফারুক আহমেদ সহ আরো অনেকে। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফিশারিজ এক্সিকিউটিভ এসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক রোকনুজ্জামান এবং কার্য নির্বাহী সদস্য  হারুন অর রশিদ।

অনুষ্ঠানে দুই জেলার মৎস্য কর্মকর্তারা পেশাগত অভিজ্ঞতা বিনিময়, বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা, মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম তদারকি এবং মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশের মৎস্য খাত এখন উন্নয়নের সোনালি অধ্যায়ে রয়েছে। মাঠপর্যায়ের মৎস্য কর্মকর্তারা দেশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ অঞ্চলের কর্মকর্তারা আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে কৃষক ও খামারিদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন—এটি সত্যিই প্রশংসনীয়।

নিরাপদ মাছ উৎপাদন, প্রযুক্তিনির্ভর চাষাবাদ, জলাশয় রক্ষা এবং খামারিদের সচেতন করা—এসব কাজ এগিয়ে নিতে আপনাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আমি বিশ্বাস করি, এমন ইতিবাচক আয়োজন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়াবে এবং সেবার মান উন্নয়নে নতুন উদ্যম সৃষ্টি করবে।”

প্রধান আলোচক বলেন, “মৎস্য খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে মাঠপর্যায়ের প্রতিটি কর্মকর্তার দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাছের রোগ প্রতিরোধ, গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং টেকসই চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণে আধুনিক জ্ঞান ও দক্ষতা অত্যাবশ্যক।

এই অঞ্চলের কর্মকর্তারা মাঠে থেকে নিয়মিত যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তা শুধু উৎপাদন বৃদ্ধি নয়, খামারিদের আস্থা অর্জনেও বড় ভূমিকা রাখছে। গবেষণা, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ এবং তথ্যভিত্তিক সেবা আরও জোরদার করা গেলে দেশের মৎস্যসম্পদ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।”

অন্যান্য বক্তাদের মতামত: বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনীতিতে মৎস্যসম্পদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ মাছ উৎপাদন, পরিবেশবান্ধব চাষ প্রযুক্তি এবং খামারিদের সার্বিক সহায়তায় ফিশারিজ এক্সিকিউটিভদের আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা ভবিষ্যতে যৌথ কার্যক্রম বাড়ানো, মাছের রোগ ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিনির্ভর সেবা এবং খামারিদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানটি অপসোনিন, স্কয়ার এবং একমি–এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী আয়োজনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, সম্মাননা প্রদান পরে “অনুষ্ঠানের কেক কাটা হয় এবং প্রধান অতিথি কেকটি তুলে ধরে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।” এবং নৈশভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন