গোদনাইল মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপো এখন ডিএস মাহবুবের পৈত্রিক সম্পদে পরিণত


ধাঃ প্রতিবেদনের ১ ম পর্ব

বিশেষ প্রতিবেক ক্রাইমঃ

গোদনাইল এসও রোড মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপোতে চলছে এখন তৈল চুরির মহোৎসব। ইতিপূর্বে মোশারফ হোসেন তৈল চুরির দায়ে সাসপেন্ড হওয়ার পরপরই পূণরায়  বীরদর্পে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ডিএস মাহাবুবর রহমানের তৈল চুরির বর্তমান রামরাজত্ব। 

গোদনাইল এসও রোড মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের এই ডিপো'কে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে,এবার তৈল চুরির নেশায় মেতেছেন বর্তমান ডিএস মাহবুবুর রহমান। 

বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে জানা গেছে ডিএস মাহাবুবর রহমান কফিল ফিলিং স্টেশনের উল্লেখিত তিনটি ট্যাংক লরি ও আরোও কয়েকটি ট্যাংক লরির মাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই হাজার হাজার লিটার তৈল,নামে বেনামে বের করে অন্যত্র কম মূল্যে বিক্রি করে দিচ্ছে এই বিশ্ব বাটপার ও তৈল চোর। 

উল্লেখিত ট্যাংক লরিগুলো হলো ১/ঢাকা মেট্রো-ঢ  ৪৪-০২০৯, ২/ঢাকা মেট্রো-ঢ ৪৪-০৮৯৫, ৩/ঢাকা মেট্রো-ড  ৪৪-০৩৪৮, এই তিনটি লরি দিয়ে প্রতিদিনই বের হচ্ছে ইনভয়েসে উল্লেখিত তৈলের বাহিরে অধিক পরিমাণ তৈল। 

এভাবেই প্রতিদিন চালানের বেশি তৈল বের করে উক্ত লরিগুলো তার চুক্তি করা পেট্রোল পাম্পে নিয়ে গিয়ে প্রতি লিটারে ১০-১৫ টাকা কম মূল্যে বিক্রি করে আসছে। 

এছাড়াও অন্যান্য ট্যাংক লরির মাধ্যমে সুযোগ পেলেই বের করে নিচ্ছে ডিপোতে মজুদকৃত ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, কেরোসিন, ফার্নেশ অয়েলসহ অন্যান্য জ্বালানি পদার্থ। 

গোনাইল এসও রোড মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ডিপোতে স্ট্রক করা সবধরনের জ্বালানী তৈল নামে বেনামে বিভিন্ন ট্যাংক লরির মাধ্যমে চুরি করে বের করা ছাড়াও ডিপোতে লোড করতে আসা প্রতিটি ট্যাংক লরিতে মাপে কম দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। 

কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে, ডিএস  মাহাবুবর রহমানের গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলায় হওয়ার কারণে, সে নিজেকে বিএনপি'র একজন বড় মাপের নেতা বলে দাবি করেন। এছাড়াও তিনি বলেন যে, তার হাত অনেক উপর পর্যন্ত রয়েছে বলে কেউ তার কিছুই করতে পারবেনা বলে সবাইকে হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।  

স্থানীয় সূত্রে আরোও জানাযায়, গোদনাইল এসও রোড মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ও বাংলাদেশ ট্যাংক লরি শ্রমিক ফেডারেশন সহ স্থানীয় বিএনপির কিছু নামধারী প্রভাবশালী নেতার সকল প্রকার সহযোগীতায় ডিএস মাহাবুবর রহমান ডিপোতে তৈল চুরির এই জঘন্যতম দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে নির্দ্বিধায়।   

এজন্য ডিপো এলাকার ব্যবসায়ী থেকে শুরুকরে সাধারণ জনমনে প্রশ্ন? দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের সীমাহীন অনিয়ম/দূর্নীতির কাছে অসহায়ত্বের বিস্ফোরণ ৫ আগস্টের মাধ্যমে ঘটিয়েছে দেশের মুক্তিকামী ছাত্রজনতা।   

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে একটি অনিয়ম, দূর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেট মুক্ত বাংলাদেশ দেখার প্রত্যাশায় অসংখ্য ছাত্রজনতা নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলো।  

কিন্তু ডিএস মাহবুবুর রহমানের মতো কিছু দূর্নীতিবাজ, অর্থলোভী শিক্ষিত চোরের জন্য জুলাই-আগস্টের শহিদদের বিলিয়ে দেয়া জীবন ব্যর্থ হতে চলেছে, তাই এই ধরনের অনিয়ম/দূর্নীতিবাজ দেশ ও দেশের জনগণের চিরশত্রু। 

তাই দেশের মুল্যবান সম্পদ এই জ্বালানি তৈল বিপণনকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠান ও জ্বালানি সম্পদ রক্ষায়, ডিএস মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে দূর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ডিপো এলাকার সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন