শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে শীতে জবুথবু খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ


গোলাম রব্বানী-টিটু, (শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর সহ পাহাড়ি এলাকায় প্রচন্ড শীত জেঁকে বসেছে । কনকনে হিমেল হাওয়া আর প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে দেখা দিয়েছে,আমাশা,ডায়রিয়া, ঠান্ডা ও পানি বাহিত রোগ সহ বিভিন্ন রোগের প্রাদূর্ভাব। এতে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরাই আক্রান্ত হয়ে ঝিনাইগাতী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকেই  । গরু, মহিষ, ছাগল,মুরগি সহ পশু পাখিরা প্রচন্ড শীতের কারণে তাদেরকে নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। গরিব-দুঃখী ও ছিন্নমূল মানুষেরা শীতে জবুথবু হয়ে অতি কষ্টে দিনাপাত করছে। কনকনে হাড়-কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে ভোর বেলায় কাজের সন্ধানে বেরিয়ে যায় গরিব মানুষগুলো। চলতি বোরো ফসলের মাঠ পরিস্কার পরিছন্নতা ও বোরো চারা রোপনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে কৃষকরা সকাল থেকেই ফসলের মাঠে কাজ করেন। পরিবার পরিজনরা শীতের কাঁপুনিতে আগুনের তাপ নিচ্ছে,পাশাপাশি খড় দিয়ে রান্না বান্নার কাজও করছেন মহিলারা। হাট-বাজারেও শীত থেকে বাঁচার তাগিদে সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ধ্যার পরপরই আগুনের তা নিতে দেখা যায়। প্রচন্ড শীতে গরিব ও ছিন্নমূল মানুষের দুঃখের শেষ নেই,গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির হচ্ছেনা। পুরাতন কাপড়ের দোকানে কমদামের শীত বস্ত্র ক্রয় করতে গরিব মানুষের উপচে পরা ভিড় লক্ষ্য করা যায় ফুটপাতের  দোকান গুলোতে । আজ রোববার সুর্যের আলোর দেখা  না মিললেও শীতের তীব্রতা কমেনি । পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষেরা ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও শীতের মধ্যে অতি কষ্টে জীবনযাপন করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার  আশরাফুল আলম রাসেল জানান, ত্রাণ ও পূর্ণবাসন মন্ত্রনালয় হতে প্রাপ্ত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এ বছর ২য় দফায় কম্বল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে । আশ্রয়ন প্রকল্পে ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান । প্রকৃত ছিন্নমূল মানুষরা শীতে কাবু হয়ে কাতরাচ্ছে । শীত নিবারণের জন্যে কম্বল বিতরণ হলেও তা অপ্রতুল বলে জানা গেছে ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন