ওসমান গনি, গজারিয়া প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নের শিখিলগাঁও মৌজার শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী মেঘনার পানি প্রবাহিত খালটি দখলদারদের আবর্জনা ও ময়লায় মরা খালে পরিণত হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে লস্কুরদী ভবানীপুর ও মেঘনা ভবানীপুর হয়ে শিখিরগাও জামালদি হয়ে পুনরায় ফুলদি নদীতে প্রবাহিত হয়েছে এই শতবর্ষী পানি প্রবাহিত খালটি। কালের পরিক্রমায় ভূমি খেকুদের অত্যাচারে আনোয়ার জুট মিল, সুপার বোর্ড, ও সামুদা কেমিক্যাল এর বালু ভরাট, ময়লা আবর্জনায় দখল হওয়ার কারণে পানি প্রবাহিত না হওয়ায় মরা খালে পরিণত হয়েছে আজ।
ষাট উর্দে বয়সের প্রাণ কৃষ্ণ, শ্রী অনিল রায়, বলরাম পোদ্দার কয়েকজন প্রবীণ জানান এই খালটি দিয়ে আমরা নৌকা চালিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেছি। আজ কোম্পানি এসে অবৈধভাবে বালু দিয়ে ভরাট করে খালটি দখল করে মেরে ফেলেছে। প্রশাসন এই খালটি পুনরায় উদ্ধার করে আমাদের ব্যবহারের উপযোগী করে দিবে বলে আশা রাখি।
ইউপি সদস্য শাকিল জানান দীর্ঘদিন থেকে জামালদি ভবানীপুর সিকিরগাও-এর স্থানীয় লোকজন এই খালটি উদ্ধারের জন্য মানববন্ধন সহ খালটির পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে খালটি আজও উদ্ধার হয়নি।
তবে তিনি আরো জানান ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুর সাথে আলোচনা করে কিভাবে খালটিকে উদ্ধার করা যায় তা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সামুদা ও সুপার বোর্ডের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে খাল দখলের বিষয়ে কথা বলতে গেলে তারা মিডিয়ার সাথে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি।
গজারিয়া বিএডিসির কর্মকর্তা জানান ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুর মৌখিক নির্দেশনায় খালটি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। বিডিসির অর্থায়নে খাল খনন করার সম্ভব নয়। উভয় পাশে কোম্পানি দখল করার কারণে খনন করে মাটি রাখার কোন জায়গা নেই এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) জি এম রাশেদুল ইসলাম জানান খালটি উদ্ধার করে খনন করার পরিকল্পনা আছে। বিএডিসির কর্মকর্তাকে খাল পরিদর্শন করে খাল খননে সম্ভাব্যতা বাস্তবায়নে নির্দেশনা দেওয়া আছে। (১ম পর্ব)
Tags
বাংলাদেশ