উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:
নড়াইলের মুলিয়া ইউনিয়নের মেম্বার সুন্দরী বালা'র খুটির জোর কোথায়, বিভিন্ন দপ্তরে তার স্বেচ্ছাচারিতা'র অভিযোগ। নড়াইল সদর উপজেলার ১৩ নং মুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য সুন্দরী বালা বাগচী'র বিরুদ্ধে পরিষদের নারী পুরুষসহ ১০ জন ইউপি সদস্য নড়াইলের বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে তার স্বেচ্ছাচারিতা'র অভিযোগ এনে সুন্দরী বালা বাগচীকে দ্রুত ইউপি সদস্যের পদ থেকে অব্যাহতি'র দাবি জানান। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, গত (৯ এপ্রিল) রবিবার সকালে বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে অভিযোগ করেন। অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ১নং-ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনন্দ সরকার, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিপুল কুমার বিশ্বাস,৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিতাই কুমার বর্মন,৪নং- ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য চিন্ময় বিশ্বাস, ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহেনদ্র নাথ বিশ্বাস,৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অজিত কবিরাজ,৭নং-ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নীলকান্ত মোহন্ত,৮নং-ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য চিত্ত শিকদার,৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিহির গাইন,৫ ও ৬ নং-ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য চারুবালা বিশ্বাস,১৩ নং মুলিয়া ইউনিয়নের ৭.৮.৯ নং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্য সুন্দরী বালা বাগচী'র বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা'র অভিযোগে অনাস্থার দাবী জানিয়ে,
নড়াইল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার নড়াইল, উপপরিচালক,স্থানীয় সরকার,নড়াইল,উপজেলা নির্বাহী অফিসার নড়াইল,চেয়ারম্যান ১৩ নং মুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নড়াইল,বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়,১৩ নং মুলিয়া ইউনিয়নের ৭.৮.৯ নং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্য সুন্দরী বালা বাগচী,সব সময় পরিষদের পুরুষ সদস্যদের সাথে স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন অঙ্গী ভঙ্গিতে কথাবার্তা ও গালমন্দসহ সব সময় বাজে বাজে ভাষা ব্যবহার করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। মনে হয় সুন্দরী বালা বাগচী ছাড়া পরিষদে আর কোন ইউপি সদস্য নাই,তিনি নিজেকে চেয়ারম্যান মনে করেন। সেই সাথে তার নিজ ওয়ার্ডে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করে বেড়াচ্ছে যেন দেখার কেউ নেই। আমরা কিছু বলতে গেলেই আমাদের নামে ধর্ষণ মামলা দেয়ার হুমকি দেয়। এর আগেও মুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন অধিকারীর ছেলে শেখর অধিকারী ও ইউপি সদস্য
নীলকান্ত মহন্তসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সুন্দরী বালা বাগচী মিথ্যা ধর্ষণ,চাঁদাবাজি ও অস্ত্র মামলা দিয়ে সম্মানহানি করার চেষ্টা করেছে,যেটা বিজ্ঞ আদালত মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এদিকে,গত বছর মন্দির সংস্কারের কথা বলে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (এমপি'র) কাছ থেকে মন্দির সংস্কারের জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান এনেও কোন কাজ করেননি। এমন কি, কোন টাকা হস্তান্তর করেনি মন্দির কমিটিকে। এ বিষয়ে মুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা ক্ষোভের সাথে এ প্রতিবেদককে বলেন,
আমরা ইউনিয়ন পরিষদে গেলে বোকার মতন দাঁড়িয়ে থাকি। সুন্দরী বালা বাগচী'র স্বেচ্ছাচারিতা'র কাছে আমরা অসহায়,সব সময় আমাদের সাথে বাজে ভাষায় কথা বলে, গালাগালি করে। প্রতিবাদ করলেই ধর্ষণ মামলা'র হুমকি দেয়। এমন বাজে মহিলার হাত থেকে বাঁচতে ইউনিয়ন পরিষদের আমরা ১০ জন মেম্বারসহ বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে সংরক্ষিত ইউপি মহিলা সদস্য সুন্দরী বালা বাগচী'র অপসারণের দাবিতে অভিযোগ দায়ের করেছি। সুন্দরী বালা বাগচী'র বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত পূর্বপ ব্যবস্থা নিয়ে তাকে অব্যাহতি দেয়ার জোঁর দাবি জানায় এবং মুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদকে কলঙ্ক মুক্ত করতে হবে। মুলিয়া বনগ্রাম পশ্চিমপাড়া রাধা কৃষ্ণ মন্দির এর পরিচলনাকারী পাগলী বিশ্বাস এর ছেলে শুকদেব বিশ্বাস বলেন,আমাদের বাড়িতে দির্ঘদিন ধরে মন্দিরে পূজা অর্চনা করে আসছি। গত বছর মহিলা মেম্বার সুন্দরী আমাদের জানায় তোমাদের মন্দিরের কাজের জন্য এমপি সাহেব ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে। সেই টাকা দিয়ে মন্দিরের কাজ করতে হবে বলে আমাদের মন্দির ভাংতে বলে কিন্তু কোন কাজ এ এক বছরের মধ্যেও করেনি তবে কিছু ইট ও কিছু বালি এনে রাস্তার পাশে রাখে,এ বছরেও এমপি সাহেব ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে সেই টাকাও আমাদের মন্দিরে দেইনি বলেও জানায়। এ বিষয়ে মুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন অধিকারী মহিলা মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা শিকার করে বলেন,আমার পরিষদের মেম্বারদের সাথে সুন্দরী বালা সব সময় খারাপ আচারনসহ পুরুষ মেম্বানদের মারধোর করে। আমি এ বিষয়ে সুন্দরী বালাকে সকলে সাথে মিলে মিসে থাকার কথা বল্লেও আমার কথা না রেখে,ছাফ আমাকে জানিয়ে দেয় তার মেম্বারী না থাকলেও সে মেম্বারদের সাথে আপস করে চলতে পারবে না।অভিযুক্ত সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য সুন্দরী বালা বাগচী মুঠফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
আমার বিরুদ্ধে সড়যন্ত করছে মেম্বার'রা,তবে মন্দির সংস্কারের ৫০ হাজার টাকার কথা শিকার করে বলেন,
মন্দিরের কাজ করার জন্য ইট,বালি এনেছি আপনি আমার সাথে দেখা করে কথা বলেন, বলে ফোন কেটে দেন।
Tags
বাংলাদেশ