মোঃ তামজিদ হোসেন রুবেল রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও অর্থ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে কমিটির সভাপতি আমিনুল হক টিপু ও সাধারণ সম্পাদক বাহার পাঠানের বিরুদ্ধে। অর্থের বিনিময়ে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে কমিটিতে নব্য আওয়ামী লীগার, এমনকি বিএনপিপন্থিদের পদায়ন করেছেন তারা। ২০০৩ সালে ইউপির কমিটির আমিনুল হক টিপু সভাপতি ও বাহার পাঠান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ২০১২ সালে অনিয়ম ও কমিটি নিয়ে বাণিজ্যের অপরাধে তাদেরকে অনাস্থা দিয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পরে তারা উপরের মহলে লবিং করে পূনরায় একই পদে বহাল থাকে, এরমধ্যেই ২০ বছর পর গত ১ জুন ২৩ এ ৯টি ওয়ার্ডে কমিটি অনুমোদন দেন। এই ইউনিয়নের কমিটি গঠনে সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কোনো আলোচনাই করা হয়নি। কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদসহ বেশির ভাগ পদেই দলে নবাগতরা স্থান পেয়েছেন। বাদ যায়নি বিএনপিপন্থি নেতারাও। গঠিত কমিটির অনিয়ম নিয়ে গত ২ জুন নেট দুনিয়ায় আলোচনা ও সমালোচনা হয়। এবিষয়ে ইউপির ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমিনুল হক টিপু ও বাহার পাঠান কমিটি দিয়েছে আমি গত বার বছর জাবদ এই পদে আছি নতুন কমিটি দেওয়ার আগে আমাকে কোন বিষয়ে অবগত করা হয়'নি এবং,তারা যাদের কে সদস্য বা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক করেছে তারা আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন কিনা নিজেরাই জানেন না। ইউপির ৪নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ১নং যুগ্ম আহবায়ক রায়হান পাটোয়ারী, রনি পাটোয়ারি ও আহবায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন। আমরা বর্তমানে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের একটি পদে আছি এখন শুনি আমাদের'কে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য করা হয়েছে এই ব্যাপারে আমরা কিছুই জানিনা। এই কমিটির সদস্য পদে পদায়িত বশির আহমেদ মানিক ও জাহিদুল ইসলাম জুয়েল আওয়ামীলীগ দলের বহিষ্কৃত নেতা, এবং সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে অনেকেই হয়েছে নতুন কমিটি সদস্য আবার কারো নামের তালিকাই খুঁজে পাওয়া যায় নাই। অর্থের বিনিময়ে দলের নতুন সদস্য হয়েই সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। প্রস্তাবিত কমিটিতে নান্টু পাটোয়ারি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য একই কমিটিতে তার ছেলে রনি পাটোয়ারি সদস্য হয়েছে, এভাবে করেছে প্রতিটি ওয়ার্ডে অনিয়ম এবং বিএনপিপন্থী বাচ্চু মেম্বারকে সভাপতি পদে পদায়িত করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা বলেন, অনেক ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে প্রস্তাবিত কমিটিতে অযোগ্য ও নবাগতদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ নির্বাচন সামনে রেখে এই কমিটি নিয়ে বাণিজ্য করা হয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আমিনুল হক টিপু বলেন। একটা ওয়ার্ডে ৪/৫ জন করে প্রার্থী ছিলো, তার মধ্যে সবাইকে দেওয়া সম্ভব না, যারা পাইনি তারাই আমার নামে মিথ্যে অপপ্রচার করে আসছে, প্রয়োজন হলে আমার নেতৃবৃন্দদের সাথে যোগাযোগ করে ভোটের মাধ্যমে পুনরায় পদ পদবি দেওয়া হবে। রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শফিক মাহমুদ পিন্টু বলেন, ভোলাকোট ইউনিয়নের কমিটির ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা, আপনার কাছে মাত্র শুনলাম সেখানে কমিটি হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ ক ম রুহুল আমিন বলেন, কমিটি করার ক্ষেত্রে ভুলত্রুটি হতেই পারে। ফেসবুকে অনিয়মের বিষয়ে আমরা দেখেছি তদন্ত করে নেতৃবৃন্দদের সাথে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।