শাহাদাত হোসেন মানিকঃ
রাজধানীর উত্তরায় বসবাসরত দারিদ্র শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে 'জেগে ওঠো বাংলাদেশ' নামের একটি ফাউন্ডেশন।উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় ফাউন্ডেশনটির ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এ ভিন্নধর্মী আয়োজন করা হয়।
ফাউন্ডেশনটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান অভির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি জেমস এ কে হামীম।সূচনা বক্তব্যে জেমস্ এ কে হামীম তাদের ফাউন্ডেশনের কার্যকম নিয়ে আলোচনা করেন।তাদের স্বপ্ন পূর্ণের আশার আলো নিয়ে আলোচনা ও বাস্তবতা নির্ভর একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক দয়াল কুমার বড়ুয়া। উদ্ভোধন করেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য,জাতীয় পার্টির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নাফিজ মাহবুব উত্তরা প্রেসক্লাবে সাবেক সভাপতি রাসেল খান,রফিকুল ইসলাম,সিনিয়র সাংবাদিক মনির হোসেন জীবন,জুয়েল আনান,শাহ জালাল জুয়েল,ওয়াহিদ আবদুল্লাহ রাজীব,মাহমুদা আক্তার পূষণ,শুকতারা ইসলাম ঔশী,
নুরুল আমিন হাসান।
জেগে ওঠো বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের আবুল হোসেন মূধা,রাসেল হাওলাদার হাসান,স্বপন রানা সোহেল,শাকিবুল হাসান,সিয়াম আহমেদ,জেগে ওঠো বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা এম এ মোরশেদ,জাবেদ আল মামুন প্রমুখ।
প্রধান অতিথীর বক্তব্যে জাপা নেতা দয়াল কুমার বড়ুয়া বলেন, 'জেগে ওঠো ফাউন্ডেশনের এমন ভিন্নধর্মী উদ্যেগকে স্বাগত জানাই। সবাই যদি দারিদ্র শিশুদের পাশে দাঁড়াই তাহলে তাদের শিক্ষা চিকিৎসা, খাদ্য বস্ত্রের অভাব হবে না। বিত্তশালীদের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানোর। আমাদের চেষ্টায় যদি তাদের একজনও সফল হতে পারে, তাহলে সেটাই আমাদের স্বার্থকতা।'
উদ্ভোধকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, 'পথশিশু না বলে বলবো অসহায় শিশু।
যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত হবে, সে জাতি তত বেশি উন্নত হবে। যার কারণে প্রধান মন্ত্রী শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করছেন। বছরের শুরুতেই শিশুদের মাঝে বই বিতরণ ও উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন। শেখ হাসিনার সরকার, শিক্ষা বান্ধব সরকার।'
বিশেষ অতিথীর বক্তব্যে ডিইউজের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য বলেন, 'জেগে উঠার জন্য মানুষিক বিকাশ, শারিরিক বিকাশ ও শিক্ষার বিকাশ অত্যন্ত জরুরী। সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য এটি অত্যন্ত জরুরী।'
অনুষ্ঠানে ৫০ জন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ৩১ জনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুনিজন সম্মাননা প্রদান করা হয়।