Daily News BD Online

রাজধানী শ্যামপুর আবাসিক হোটেলের আড়ালে বেপরোয়া অসামাজিক কর্মকাণ্ড


রিপোর্টার, সোহেল আহমেদ :

আবাসিক হোটেলের আড়ালে চলা অসামাজিক কর্মকাণ্ড।  রাজধানী বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নানা পেশায় চলছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড। এতে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন হোটেলে ওঠা সাধারণ বোর্ডাররা। অনেকের অভিযোগ,  অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালাতেই যত্রতত্র গড়ে উঠছে এসব আবাসিক হোটেল। এতে মানুষের মাঝে আবাসিক হোটেল সম্পর্কে বাজে ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে।
সম্প্রতি রাজধানীর শ্যামপুর, পোস্তখোলা,  এলাকায় গড়ে ওঠা নিম্নমানের কিছু আবাসিক হোটেলে চলা অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে নানা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। হোটেলগুলোতে অবাধে দেহব্যবসা চলায় স্থানীয় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী  জড়িয়ে পড়ছে এই পেশায়। আবার অর্থের অভাবে অনেক নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূরাও কাজে যুক্ত হচ্ছে।  আবার কেউ কেউ হোটেলের দালালদের খপ্পরে পড়ে বাধ্য হচ্ছে এই ব্যবসায়। এসব দালাল হোটেলের আশপাশে ঘুরঘুর করে খদ্দের সংগ্রহ করে। তারা রাস্তায় চলমান মানুষদের কাছে ছোট্ট করে কিছু লাগবে নাকি, নতুন আছেসহ অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে। যাতে অনেক পথচারীই বিরক্ত প্রকাশ করে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে শ্যামপুরে দক্ষিণ বাংলা আবাসিক হোটেল এবং সুন্দরবন আবাসিক হোটেল ।  দিন-রাতে অবাধে চলছে দেহব্যবসা। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রভাবশালী একটি মহল এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কোনো সংস্থা অভিযান চালালেই যৌনকর্মীদের হোটেলের আয়া ও বাবুর্চি সাজিয়ে পরিচয় দেয়া হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এই ধরনের কিছু হোটেলের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় আবাসিক হোটেলের নামে আড়ালে তাদের প্রধান কাজ তারা অসামাজিক কাজ চালানো। বিভিন্ন জেলা থেকে আ গত মানুষ না বুঝে এসব হোটেলে উঠে বিব্রতকতর অবস্থার শিকার হন। মাঝে মধ্যে পুলিশের অভিযানে দেহব্যবসায়ীরা আটক হলেও আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, হোটেলটি দক্ষিণ বাংলা আবাসিক হোটেলের পরিচালনাকারী মো: হানিফ এক সময় এ হোটেলে কাজ করতেন। রাতারাতি মোটা পয়সার মালিক হতে নিজেই হোটেলের মালিক হন। একই সাথে থেমেও নেই সুন্দরবন হোটেলের মালিক অভি এবং ম্যানেজার মনির। দক্ষিণ বাংলা এবং সুন্দরবন পাল্লা দিয়ে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ।     
এ বিষয়ে শ্যামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুর বলেন, পুলিশ অভিযান চালালেই নামে-বেনামে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা সৃষ্টি করা হয়ে থাকে। যার তালিকায় কিছু নামধারী সাংবাদিকও রয়েছে। তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ শ্যামপুর এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে। একই সাথে এ অসামাজিক কর্মকাণ্ড রুখতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন