এ.বি.এম.হাবিব :
নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে নিজ অর্থায়নে পৈত্রিক সম্পত্তিতে মসজিদ বানিয়ে হয়রানীর শিকার হয়েছন এমরান নামের একজন শিক্ষক।
অভিযোগে জানা যায়, উত্তর জামাল পুর,পো.হুলিখালি,বাঘমারা,রাজশাহীর মৃত আলহাজ্ব এছাহাক আলী মন্ডলের মো.এমরান হোসেন পার্শবর্তী নওগাঁ জেলার মান্দা থানার ফতেপুর মোড়ের আশে-পাশের জনগনের নামাজ পড়তে অসুবিধা বা দুরত্ব হওয়ায় সকলের অনুরোধে তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে নিজ অর্থায়নে একটি প্রথমে একটি অস্থায়ী টিনসেটের মসজিদ স্থাপন করেব। পরবর্তীতে লোকজনের অসুবিধা হওয়ায় তার নিজেস্ব ব্যবহৃত কোচিং সেন্টারে অস্থায়ী ভাবে নামাজ আদায় করার জন্য সকলকে বলে দেন তিনি এও বলেন যে,যদি কখনো কোন বড় ধরনের সহযোগিতা কাহারো পাওয়া যায় তখন মসজিদটি অন্য জায়গায় ভালো করে নির্মাণ করে সে লিখিত ভাবে ওয়াকফা করে দেবেন বলে জানান। সে কথা অনুযায়ী স্থানীয়রা অস্থায়ী মসজিদটিতে নামাজ আদায় করতে থাকেন। মসজিদের পিছনে খাল-গর্ত থাকায় তিনি চলতি বছরে মাটি কেটে খাল-গর্ত পূরণ করে,বড়-পরিসরে মসজিদ নির্মানের প্রস্তুতি নিলে,মোড় থেকে প্রায় ২/৩ কিলো দুরের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মান্দা ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। তার অভিযোগের মুল বিষয় ছিল, জায়গাটি খাস,মসজিদটি জনগনের টাকায় স্থাপন করা হয়েছে এবং এমরান সাহেব জনগনের টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ বিষয় নিয়ে কাগজ-পত্র দু,পক্ষকে ডেকে পাঠালে তাহারা সেখানে উপস্থিত হন। এমরান সাহেব তার পৈত্রিক সম্পত্তি তাহা দলিলাদী দ্বারা প্রমান করেন।
এমরানের কাগজ দলিলাদী দেখে জানা যায়, সম্পত্তির মহল জোদদার ছিল মো.বাকী প্রাং-পিতা মৃত রহিমুল্যা প্রাং,সাং-ফতেপুর,থানা-মান্দা, জেলা-রাজশাহী। তিনি ২২/০৭/৬৭ সালে মো.আফছার আলী সরদার, পিতা-মৃত আজগর আলী সরদার সাং- সোনাডাঙ্গা,বাঘমারা, রাজশাহী বরাবর কবলা দেন। পরবর্তীতে ৩১/১০/৭৪ সালে, সাবেক দাগ-১৮৭,খতিয়ান নং-৩৩,জে এল নং-২৯৯,রে-জে নং-১৯৯, মৌজা পিতেম্বর ফতেপুর। হাল দাগ-২৬২,জমির পরিমান সাড়ে ১৪ শতক এমরানের বাবা আলহাজ্ব এছাহাক আলী মন্ডল। সাং উত্তর জামাল পুর,পো.হুলিখালি,বাঘমারা,রাজশাহী বরাবর বিক্রয় কবলা দেন। সেখানে বাঁকী আফ শতক জমি এখনো মুল মালিকের নাতি-মো.আবুল প্রাং এর নিকট আছে। আবুল পরবর্তীতে ২১/১২/৭৪ সালে- দুই দাগে ৭শতক রেজিঃ মুলে এছাহাকের কাছে বিক্রয় করেন। সাবেক দাগ-১৮৩,হাল দাগ নং-২৫৯. ২৪ শতকের কাতে সাড়ে ৩.সাবেক দাগ-১৮৮,হাল দাগ নং-২৬০ ৭শতকের কাতে সাড়ে ৩শতক সর্বমোট ৭শতক। এ সকল বিষয় এমরান মাষ্টারের বিরুদ্ধে কোন প্রমান দিতে পারেনা অভিযোগকারী। এভাবে মিথ্যা অভিযোগ ও হয়রানি-পেরেশানির জন্য অভিযোগকারীকে সতর্কও করেছেন নির্বাহী কর্মকর্তা মান্দা।
স্থানীয় মন্ডল,মাতম্বর,ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা সকলের উপস্থিতিতে ষ্ট্যাম্পে লিখিত ভাবে রাস্তার দক্ষিন ধারে ৪দাগে ১৪.৭৫ শতক জমি বুঝিয়ে দেয়।উত্তরের জমিটির দাওয়া-দাবীও ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে রাস্তার দক্ষিনে বড় পরিসরে ২৬০ নং দাগে মসজিদটি স্থাপন করবেন বলে জানান। মসজিদ সম্পর্ন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমানে অস্থায়ী জায়গায় নামাজ পড়াতে পারবে বলেও তিনি সকলকে জানিয়ে দেন। সব শেষে এমরান মাষ্টার বলেন,জনগনের সেবা মুলক কাজ করতে গেলে বহু বাঁধা আসতেই পারে, তবে তিনি সব সময় সেবা মুলক কাজ করেই যাবেন বলে জানান।