এজাহার সূত্রে জানা যায়, দাপদুপ ইউনিয়নের কমলেশ্বরদী এলাকার মুকুল শেখ (৪৮) প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে ওই কিশোরীকে প্রায় উত্ত্যক্ত করতো। কিশোরী তার পরিবারকে জানালে কিশোরীর বাবা মুকুল শেখকে কয়েক বার সাবধানও করেছেন। গত ১২ জানুয়ারি বিকেলে ওই কিশোরী বাড়ির পাশে সরিষা ক্ষেতে শাক তুলতে গেলে মুকুল শেখ বিভিন্ন লোভ লালসা দিয়ে চেতনা নাশক চকলেট খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই কিশোরী অজ্ঞান হয়ে গেলে সেখানে ফেলে রেখে মুকুল শেখ চলে যায়। বিকেল ৫টার দিকে কিশোরীর চেতনা ফিরলে সে বাড়ি ফেরার পথে মুকুল শেখ তাকে থামিয়ে ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ ঘটনার কিছুদিন পর ওই কিশোরী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৮ মার্চ তাকে বোয়ালমারীর মোল্লা ডা. এ হালিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডা. শোভন সাহা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর জানতে পারে সে ৮ সপ্তাহের গর্ভবতী। পরে সে পরিবারের নিকট ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষক মুকুল শেখ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নির্যাতিত কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর পাঠানো হয়েছে।