৫ই আগস্টের হত্যা মামলায় ৯২ জন আসামীকে বাঁচাতে মরিয়া ওসি আতাউর রহমান!



নিজস্ব প্রতি‌বেদক : জুলাই আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনাতার আন্দোলনে করা হত্যা মামলার আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ৯২ নেতাকে বাঁচাতে গোপনে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে রংপুর মেট্রো পলিট্রনের কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে। 

৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী  ছাত্রজনতার আন্দোলনের সময়  আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের হাতে নিহত হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সমন্বয়ক  মাহমুদুল হক মুন্না। 

গত ৩১/০৮/২৪ ইং কোতয়ালী থানায় ১২৮ জন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে  একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়, যার জি আর মামলা নং ৪০২, উক্ত মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সেলিম বদলী হওয়ার পরে, পরবর্তী  তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে এস আই মোস্তাফিজুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হলে, সে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে গত ৬/০৫/২৫ ইং তারিখে ১০৬ নং অভিযোগ পত্রটি  অনলাইনে দাখিল করেন। 

পরবর্তীতে সে মামলা বাতিল করার জন্য অফিসার ইনর্চাজ আতাউর রহমান আটঘাট বেধে বসেন। অভিযোগ পত্রটি বাতিল করার জন্য এসআই  মোস্তাফিজুরকে চাপ দিতে শুরু করেন ওসি আতাউর। 

একপর্যায়ে এসআই, মোস্তাফিজুর রহমান ওসি আতাউর রহমানের কথা না শুনলে তাকে জোর করে বদলী করে দেন।

৫ ই আগস্টের ছাত্রজনতা  হত্যা মামলার আসামী  আওয়ামী লীগ নেতাদের বাঁচানোর তাগিদে ওসি আতাউর  রহমান অভিযোগ পত্রটি বাতিল করার জন্য পুলিশ সদর দপ্তর সহ সকল জায়গায় জোঁড় তদবির চালাচ্ছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

অন্যদিকে এসআই মোস্তাফিজুর রহমানের নামে মিথ্যা বিভাগীয় মামলা দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে, আওয়ামী লীগের দোসরদের পক্ষ নিয়ে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় ওসি আতাউর স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর, তাই ওসি আতাউর রহমানের মূল লক্ষ্য হলো, বৈষম্য বিরোধী  ছাত্রজনতার  আন্দোলনে হত্যা মামলার ৯২ জন  নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার নামে দেওয়া অভিযোগ পত্রটি বাতিল করার,এজন্য উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে জোঁর তদবির চালাচ্ছেন তিনি।

বিশ্বস্ত সূত্রে আরো জানা যায়, এসআই মোস্তাফিজুর রহমান উক্ত মামলার দ্বিতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে গত ১৯ এপ্রিল সিএস দিতে বলা হয়েছিলো কিন্ত কিছু যাচাই বাছাই বাকী ছিল বলে পরে তাকে আরোও একদিন বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়। 

এস আই মোস্তাফিজুর রহমান ও ওসি তদন্ত সহ তার রুমে বসে মামলাটি লেখা শেষ করেন। 

অন্যদিকে  ২৯ এপ্রিল ওসি আতাউর রহমানের  কাছে মামলার নথি স্বাক্ষর করাতে গেলে ওসি স্বাক্ষর দিতে কালক্ষেপন করতে থাকেন।

সিনিয়র অফিসারদের নির্দেশ থাকার পরও তাকে অভিযোগ পত্র না দেওয়ার জন্য কৌশলে তাকে বদলী করে দেন। 

পরে গত ৬ মে সে অনলাইনে সিএস কনফার্ম করে বাদীকে কপি দিয়ে ডকেট তার কাছে জমা দিয়ে আসেন। 

উক্ত ঘটার বিষয়ে জানতে ওসি আতাউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান নিজেকে বাঁচাতে সংবাদ কর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।

সে এই থানায় কর্মরত থাকাবস্থায় নানা অনিয়ম করেছেন বিধায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষ অন্যত্র বদলি করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন