![]() |
বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় দিয়ে কর্মজীবী মানুষ অফিস শেষে যে যার মত বাসায় ছুটছেন। ছবিটি মতিঝিল এলাকা থেকে তোলা। 📷 মো. সাইদুল ইসলাম |
- উপকূল অতিক্রম করছে নিম্নচাপ
- সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
- ১৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা, সতর্ক সংকেত
- ভোলায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা
- রাতে তীব্র ঝড় বইতে পারে বিভিন্ন জেলায়
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে আজ সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। তীব্র গরমের পর এই বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি আনলেও দৈনন্দিন কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকায় তেমন ভারী না হলেও সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। এতে কর্মব্যস্ত মানুষ ও শিক্ষার্থীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। স্বস্তির বৃষ্টি মুহূর্তেই এসব মানুষের দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়েছে।
সকালে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় যাত্রীদের।
সকাল ১০টার দিকে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া ও বিজয়নগর মোড়ে টানা বৃষ্টির মধ্যে গণপরিবহন পেতে হিমশিম খেতে দেখা যায় যাত্রীদের। যেকোনো বাস থামতেই ভিড় ঠেলে কার আগে কে উঠে বৃষ্টি থেকে মাথা বাঁচাবেন তা নিয়ে দেখা যায় প্রতিযোগিতা।
আগামীকালও এমন মাথার উপরে জল আর পায়ের তলায় প্যাঁচপ্যাচে কাদা নিয়ে দিন কাটাতে হতে পারে রাজধানীবাসীর। তবে শনিবার (৩১ মে) থেকে এই বৃষ্টি কমে আসতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, এ বছর স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আগেই শুরু হয়েছে বর্ষা মৌসুম। এতে রংপুর বিভাগ বাদে প্রায় সব অঞ্চলেই বেশ বারবার বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে, তবে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা কম।
আজ (বৃহস্পতিবার) এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়েই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের কিছু অংশে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটা অঞ্চলের খেপুপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একই সময়ে ঢাকায় ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে
অন্যদিকে, গতকাল (বুধবার) নীলফামারীর ডিমলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।