এবার চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রতীকী ছবি


এবার চীনা শিক্ষার্থীদের ওপর আরও চাপ বৃদ্ধি করল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা কঠোরভাবে বাতিল করা শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র।


মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত এক বিবৃতিতেও একই কথা বলা হয়েছে। এদিকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত সব বাকি সরকারি আর্থিক চুক্তিও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতরণ শুরু করেন। সম্প্রতি আগাম কোনও কিছু না-জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের নানা ইস্যুতে ভিসা বাতিল করে আসছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।

এবার ঘোষণা আসলে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা হবে। এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিলে চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করবে। বিশেষত, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তাদের নজরে রয়েছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, চীন এবং হংকং থেকে ভবিষ্যতে যারাই ভিসার আবেদন করবেন, তাদের আবেদনকেও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক হাজার চীনা শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন। মার্কিন সরকারের ২০২৩ সালের তথ্য মতে, ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ ছিল ভারতীয় ও চীনা। মার্কিন অর্থনীতিতে তাদের অবদান ছিল পাঁচ হাজার কোটি ডলার অর্থমূল্যের বেশি।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ কার্যকর হলে মার্কিন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎসে যেমন ব্যাঘাত ঘটবে, তেমনি মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও মেধাবী নবীন কর্মী খুঁজে পেতেও বেকায়দায় পড়বে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ সেবা প্রশাসন জিএসএ থেকে পাঠানো এক চিঠিতে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ফেডারেল সব সংস্থাকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাদের বিদ্যমান চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করে সেগুলো বাতিল বা পুনর্বণ্টনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এসব চুক্তির মূল্য আনুমানিক ১০ কোটি ডলার।

এর আগে হার্ভার্ড তাদের নীতি আমূল পরিবর্তন করার ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি মেনে নেয়নি। এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য বরাদ্দ সরকারি তহবিল বাতিল করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এবার অবশিষ্ট সব সরকারি চুক্তিও বাতিল করার পথে হাঁটছে তার প্রশাসন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন