নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাইনাদী নতুন মহল্লায় তিন মাসের বকেয়া বাসা ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালার মধ্য মারামারিতে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে মোঃ আবুল বাসার (৭০) নামে এক বাড়িওয়ালা খুন হয়েছে ৷
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাড়াটিয়ার পরিবারের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, মোঃ তছর উদ্দিনের ছেলে সোহাগ হোসেন (৩০), সোহাগের স্ত্রী আলেয়া বেগম (২৫) এবং সোহাগের মা ফাতেমা বেগম (৪৫)।
এলাকার স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে আবুল বাসারের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলো গ্রেফতারকৃতরা।
গত ৩ মাস যাবৎ ভাড়া পরিশোধ না করলে, বাড়ির মালিক মোঃ আবুল বাসার ভাড়াটিয়া সোহাগকে বাড়ি ছাড়ার কথা জানালে, এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো,সর্বশেষ সোমবার বিকেলে বাড়িওয়ালা সোহাগের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিলে, রাতে সোহাগ পরিবার নিয়ে বাসায় ফিরে ঘরের দরজায় তালা আটকানো দেখতে পান।
পরবর্তীতে সোহাগ বাড়িওয়ালার ছেলে নাফিজ (৩৫) কে গেট খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে, বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়, এক পর্যায়ে নাফিজ তালা খুলে দেয়, এরপরেও উভয়ে বাকবিতন্ডায় চলতে থাকলে, তাৎক্ষণিক নাফিজের ছোট ভাই বাধন (৩০) ঘটনাস্থলে এসে যুক্ত হন।
কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই ভাই মিলে ভাড়াটিয়া সোহাগের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করেন,এ সময় বাড়িওয়ালা আবুল বাসার ও ভাড়াটিয়া সোহাগের স্ত্রী ও তার মা এসে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
ঝগড়া থামাতে গিয়ে ধস্তাধস্তি ও মারামারির একপর্যায়ে আবুল বাসারকে সোহাগ মারধর করে এবং ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে সে গুরুতর আঘাত পান বলে বাড়িওয়ালার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন।
সাথে সাথে মুমুর্ষ অবস্থায় আবুল বাসারকে সাইনবোর্ড প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নেওয়া হলে, সেখানে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করেন।সেখানে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনূর আলম বলেন, ৩ মাসের ঘর ভাড়া পাওনা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে
নিহত আবুল বাশারকে ভাড়াটিয়ারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে, তিনি আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল উন্নত চিকিৎসার জন্য সময় খ্যাপান করে সর্বশেষ খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এমতাবস্থায় আমরা ভাড়াটিয়াদের গ্রেপ্তার করেছি,তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।