ফুলবাড়ীতে কাঁচামালের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় স্থিতিশীল কাঁচাবাজার

 


আমিনুল ইসলাম, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় গত এক সপ্তাহ থেকে স্থিতিশীল রয়েছে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচা মরিচসহ শাক-সবজির দাম। বর্তমানে প্রতিটি পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাদের দোকানে পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ রয়েছে এসব খাদ্যপণ্য। দাম স্থিতিশীল থাকায় স্বস্তিতে রয়েছেন সবশ্রেণির ক্রেতা সাধারণ।

রোববার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার সুজাপুরস্থ পাইকারী বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ৪২ থেকে ৪৬ টাকা। যেটি খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজিদরে। ঈদ উল আজহার আগেও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতিকেজি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। আলু ক্যারেজ প্রতিকেজি ১০ থেকে ১২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, ঈদের আগেও একই দাম ছিল। রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ১০০ থেকে ১২৫ কেজি দরে। যা ঈদের আগে দাম ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি। বর্তমানে আদার কেজিতে ৪০ টাকা কমে দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা ঈদের আগেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। তবে খুচরা বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি বাজারে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও কাঁচা মরিচ কিনতে আসা পৌরশহরের ডুঙ্গি হোটেলের স্বত্বাধিকারী উজ্জল মহন্ত বলেন, এসব পণ্যের দাম কিছুদিন থেকে স্থিতিশীল থাকায় হোটেলের তৈরি খাবারে পরিমাণ মতো দেওয়া যাচ্ছে। এতে খাবারের মান ঠিক থাকছে। ক্রেতারাও স্বস্তিতে খেতে পারছেন। আলুর দাম কম থাকায় সকালের নাস্তায় বুটের ডালের বদলে আলুর ডাল সরবরাহ করছেন ক্রেতাদের মাঝে।

পাইকারি আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও কাঁচা মরিচ বিক্রেতা অর্জুন চন্দ্র সরকার বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বেশ কিছুদিন ধরেই দেশি পেঁয়াজ দিয়েই ক্রেতা সাধারণের পেঁয়াজের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। বর্তমানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দামও স্থিতিশীল রয়েছে।

একই বাজারের পাইকারি বিক্রেতা মো. মিনু মিয়া বলেন, পাবনা, মেহেরপুর, নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে  প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। একই সাথে প্রশাসনের নজরদারি থাকায় এসব পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে ফুলবাড়ী বাজারে কয়েক দিন আগে দিনাজপুরের খানসামা ও নাটোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে রসুন আমদানি করা হয়েছে। এ কারণে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব পণ্যের দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন