ডেমরা প্রতিনিধিঃ জুলাই-আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে সম্পূর্ণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতার প্রমাণ রয়েছে। আমান সিটি রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে।
প্রমান রেয়েছে যে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মাতুয়াইল হাসেম রোড, মাতুয়াইল রায়েরবাগ, মাতুয়াইল মেডিক্যাল রোড, তামিরুল মিল্লাত মহিলা মাদ্রাসা রোডসহ এই সব এলাকায়, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে জুলাই আগস্ট বিপ্লবে ছাত্র জনতার উপর আওয়ামিলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে বর্বর হামলা চালায়।
তাদের এই হালায় আন্দোলনরত ছাত্র/ছাত্রী, ভাসমান ভ্যানচালক,মুদি দোকানদার, এমনকি দেশের বহুল প্রচারিত অনলাইন মিডিয়া "ঢাকা পোস্ট" এর সিটি রিপোর্টার সাংবাদিক মেহেদী হাসানসহ অসংখ্য নিরীহ মানুষ আহত ও নিহত হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,এই আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামিলীগ ও এর সহযোগী সকল অঙ্গসংগঠনকে, ছাত্র জনতা আন্দোলন চালাকালীন সময়ে প্রতিদিন দুপুরে খাবার ও নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন কথিত আওয়ামিলীগ নেতা ও মাতুয়াইল মুসলিম নগর আমান সিটি হাউজিং রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কর্ণধার আমানুল্লাহ আমান।
মাতুয়াইল দক্ষিণপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা এই আমান সিটি আমান ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় ৬৫ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন স্থানে পলাতক খুনি ও একাধিক হত্যা মামলার আসামি এমপি সজল মোল্লার আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনীদের সাথে সারাদিন বিভিন্ন কর্মসূচিতে অবস্থান ও ছাত্রদের উপর হামলার ছবি ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে সাংবাদিক ও জনসাধারণ।
এদিকে ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে মাতুয়াইল মেডিক্যাল রোড হইতে সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ছাএ জনতা আন্দোলন ঠেঁকাতে আমান উল্লাহ আমানকে ও সাবেক বৃহত্তর ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ৬৫ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী পলাতক আসামি এনামুল ইসলাম এনামকে দ্বায়িত্ব দেয় ঐ সময়ে ঢাকা-০৫ আসনে পলাতক প্রভাবশালী স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল। তৎকালীন ছাত্র জনতা একাধিক হত্যা মামলার আসামি সাবেক সংসদ সদস্য মশিউর রহমান সজল মোল্লা এর নির্দেশে পালন করতে গিয়ে ছাত্রদের উপর চালানো হয়েছে অমানবিক নির্যাতন! এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় কয়েক জন বিএনপি ও জামায়াতে কর্মীরা সাংবাদিকদের জানায়,আমান সিটি আমান উল্লাহ আমান জুলাই আগস্ট বিপ্লবে ছাত্রদের হত্যা ও নির্যাতন সময় স্হানীয় সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের মাঝে আমান সিটির মালিক কথিত আওয়ামী লীগ নেতা আমান উল্লাহ ওরফে আমান লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা ও দুপুরে খাবার বিতরণ করছে।
এই ধারাবাহিকতা কথিত আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমাননে নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমান সিটি আমান উল্লাহ ০৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালানো পড়েই বিএনপি শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে দৌড়ঝাঁপ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,কিছুদিনের মধ্যে বিএনপির থানা কমিটি ও ওয়ার্ড কমিটি গঠিত হবে তাই পদ পদবী পাওয়ার জন্যই এখনই আগামী ডিএসসিসির ৬৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে বিএনপি'র পক্ষ থেকে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। তারই বড় ভাই প্রয়াত সাবেক বিএনপির স্থায়ীন নেতা আলহাজ্ব ""সানাউল্লাহ মিয়া আপন ছোট ভাই বলেই""আমান উল্লাহ আমানকে বিএনপির স্থানীয় লোকজন তাকে ভোট দিবে কাউন্সিলর বানাবে এমনটাই ভাবছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। আরো জানা যায়, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের আমলে পলাতক এমপি মশিউর রহমান মোল্লা সজল এর সুপারিশক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন কাঁচপুর ব্রিজের পূর্ব দিকে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণে টেন্ডার হয় ওই টেন্ডার তৎকালীন আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রীদের ও তৎকালীন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পলাতক খুনি ফজলে নূর তাপসের সুপারিশে প্রায় ৯২ কোটি টাকার টেন্ডার পান আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা আমানউল্লাহ আমান। এই আমান সিটির আমান আওয়ামী লীগ আমলে কোটি কোটি টাকা টেন্ডার বাণিজ্য এবং মানুষের জমি জায়গা জোরপূর্বক স্বল্প মূল্যায় কিনে বালু ভরাট করে প্লট বিক্রি করে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি অস্ট্রেলিয়ান সিটিজেনশীপ তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়া অটল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন দেশে মাঝে মাঝে যাতায়াত করেন। তিনি বিএনপি ক্ষমতায় আসলে একই কায়দায় সুযোগ-সুবিধা নিবেন বলে স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীদের অভিযোগ। আওয়ামী লীগের সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের আমলে ঢাকা পাঁচ আসনের অনেক নেতাকর্মীরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, জুলাই বিপ্লবের ছাত্র আন্দোলনের পরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আমরা বিএনপির দুর্দিনে জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েও আওয়ামী লীগ থেকে আসা নব্য হাইব্রিড বিএনপিধারী নেতারা দলীয় শীর্ষ নেতাদের কোটি কোটি টাকা দিয়ে পদ বাণিজ্য তদবির চালাচ্ছে। এই নব্য বিএনপি হাইব্রিড নামধারী বিএনপির বিষয়ে দলীয় কোন সিদ্ধান্ত আসছে কিনা এই ব্যাপারে মুঠোফোনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও ঢাকা-০৫ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি দলীয় সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব নবী উল্লাহ নবীর সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের ফোনে জানান, দল থেকে সম্পূর্ণ নির্দেশ দেওয়া আছে কোন প্রকার নব্য আওয়ামী লীগ জুলাই আগস্ট বৈষম্য ছাত্র হত্যা আন্দোলনের মামলার আসামি অর্থ যোগানদাতা সন্ত্রাসীদের সুযোগ-সুবিধা দানকারী এবং বিএনপির দুঃসময় দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অত্যাচার নিপীড়ন চালানোর ও তাদের খোঁজখবর না রেখে আওয়ামী দোসরদের সাথে সুসম্পর্ক রাখা, যারা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট তারা যাতে দলে সুযোগ না পায় সে বিষয়ে ঢাকা-০৫ নির্বাচনী এলাকায় প্রত্যেকটি থানা ওয়ার্ড ইউনিট আহ্বায়ক কমিটি ও বিএনপি তৃণমূল নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। এরই মধ্য যদি আমরা কোন প্রমাণ পাই যে বিএনপি ওয়ার্ড ইউনিট থানা কমিটির মধ্যে আওয়ামী লীগ দোসর ঢুকেছে তাদের সাথে কোন বিএনপি নেতাকর্মীরা সুসম্পর্ক করেছেন এবং হাইব্রিড নব্য বিএনপির জন্য আমার কোন নেতাকর্মী তদবির করছে তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেব। অভিযোগ রয়েছে কুখ্যাত আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে মাতুয়াইল এলাকা সুপরিচিত অর্জন করেছেন আমার সিটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক আমানুল্লাহ আমান তিনি আওয়ামী লীগের দোসর পলাতক সাবেক এমপি মশিউর রহমান মোল্লা সজলকে নির্বাচনের সময় কোটি টাকার মতো দিয়েছেন।
এখন মহানগরসহ শীর্ষ বিএনপির নেতাদের বাসায় দৌড়ঝাঁপ করছেন আমান সিটি স্বত্বাধিকারী আমানুল্লাহ!
Tags
রাজনীতি