ফলমণ্ডি সয়লাব আম-কাঁঠালে



 চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ফলের আড়ত ফলমণ্ডি। সারাবছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও বিদেশ থেকে ফল আসে এই আড়তে। 

ফলমণ্ডিতে নানান ফলের পসরা থাকলেও মৌসুমী ফল আম-কাঁঠালের রাজত্ব সবচেয়ে বেশি। এ আড়ত থেকেই চট্টগ্রাম এবং আশেপাশের জেলা এবং উপজেলাতে ফলের সরবরাহ হয়ে থাকে।

আড়তদাররা জানান, সব ধরনের মৌসুমি ফল পাওয়া যায় এই বাজারে। বিশেষ করে আমের মৌসুমে সব জাতের আম পাওয়া যায় এখানে। জ্যৈষ্ঠের শুরু থেকেই আম সরবরাহ বেড়েছে, চাহিদাও প্রচুর। আমের মৌসুম চলমান হওয়ায় প্রতিদিন ৫০ থেকে ৮০ ট্রাক পর্যন্ত আম প্রবেশ করছে এই আড়তে। রাজশাহী, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আম আসছে ফলমণ্ডিতে। চাহিদা থাকা আমের প্রজাতির মধ্যে রয়েছে আম্রপালি, ল্যাংড়া, ক্ষিরসাপাতি, গোপালভোগ, ডাবল বি, হাড়িভাঙা, হিমসাগর, গুটিসহ বিভিন্ন প্রজাতি। এছাড়া জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল, আনারস, তালসহ নানান ফলও আছে আড়তে।

তারা বলছেন, চট্টগ্রামের তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসে আম। যোগান বেশি থাকায় আমের দাম তুলনামূলক কম। তাই অন্যান্য ফলের চাইতে খুচরা ব্যবসায়ীরা আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বেশি।

সাধারণত ভোর থেকে সকাল ১০টার মধ্যে ফলমণ্ডিতে ঢোকার মুখের ভ্যানের থাকে দীর্ঘ সারি। খুচরা বিক্রেতারা দরদাম করে নিয়ে যান ফল।

মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী আমজাদ জানান, ফলমণ্ডি থেকে ফল কিনে ভ্যান গাড়িতে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করি। সরবরাহ ভালো সঙ্গে চাহিদাও বেশি থাকায় আমই বেশিরভাগ বিক্রি করছি। কেজিতে ১৫-২০ টাকার মতো লাভ থাকছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে পাওয়া যাচ্ছে রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও এবং দিনাজপুরের লিচু। এখন মানভেদে লিচু খুচরায় ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে খুচরায় প্রতি কেজি গুটি আম ৮০ টাকা, গোবিন্দভোগ ১০০ টাকা, গোপালভোগ ১০০ টাকা ও হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। কালোজাম মানভেদে ২৫০-৪০০ টাকা, আনারস ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জাতীয় ফল কাঁঠাল মান ও আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে। ১২০-৩০০ টাকা মধ্যে ছোট থেকে মাঝারি সাইজের কাঁঠাল পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া হালের জনপ্রিয় ফল ড্রাগন ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন