![]() |
রিপোর্টার সোহেল আহমেদ :
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় রংধনু আবাসিক হোটেলে চলে দেহ ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই আবাসিক ব্যবসায়ের আড়ালে চলছে রমরমা এ পতিতাবৃত্তি। এসব অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়ে দীর্ঘদিনের সরেজমিন অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসছে অজানা অনেক তথ্য।লোকজনের ভাষ্যমতে, রংধনু আবাসিক হোটেলে নিয়মিত চলে অসামাজিক কার্যকলাপ, নারী দেহ ব্যবসার সাথে বিভিন্ন রুমে বসে মাদকের আড্ডা।
তরুণ ও উঠতি বয়সী যুবকদের টার্গেট করে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক কেনাবেচা চললেও পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ নেই বললেই চলে। যে কারণে বলা হয়ে থাকে যাত্রাবাড়ী থানার অন্তর্গত আশেপাশের এলাকায় রংধনু আবাসিক হোটেলটি অপরাধের আখড়া। বেশ্যাবৃত্তির নিরাপদ আস্তানা। রংধনু আবাসিক হোটেলে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে চালিয়ে আসছেন সবধরনের অবৈধ কাজ। তথ্য মতে, এই প্রতিষ্ঠানে হোটেলের নামে আসলে চলে দেহ ব্যবসা ও নিরাপদে ইয়াবা সেবন। এ হোটেলের মালিক আল আমিন, ম্যানেজার শান্ত ও তার সহযোগী হিসেবে রয়েছে শাজাহান নামে এক ব্যক্তি।
সাংবাদিকদের দেখে চড়াও হয়ে যান ম্যানেজার শান্ত ও তার সহকারী শাজাহান একপর্যায়ে বলেই ফেলেন যে যা পারেন করেন আপনার মত দুই টাকার সাংবাদিক বহুৎ দেখছি এখান থেকে যান তা না হলে খারাপ হবে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নারীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এনে জোড় করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা সহ দেশের বাইরে নারী পাচারকারীদের হাতে তুলে দেওয়ার কথাও জানান অনেকে।এছাড়াও অনুসন্ধানে তথ্য মেলে রংধনু আবাসিক হোটেলে দেহব্যবসার পাশাপাশি রুম ভাড়া নিয়ে চলে ইয়াবা সেবন। নিরাপত্তার সাথে ইয়াবা সেবনের জন্য এই হোটেলের কোনো জুড়ি নাই ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসী জানায়, “রংধনু আবাসিক হোটেলের মালিক আল আমিন তার লোকজন দিয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে হোটেলের নামে হাজার হাজার ভিজিটিং কার্ড ছড়িয়ে দিয়ে থাকেন খদ্দের পেতে। শনির আখড়া ব্রিজ, চিটাগাং রোড ব্রিজ, সাইনবোর্ডে ফ্লাইওভারে এসব কার্ড হাতে পেয়ে স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা নিরাপদে যৌনকর্ম যুক্ত হচ্ছে। এতে সামাজিক অবক্ষয় হচ্ছে।এই বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।