আব্দুল জলিল, সাতক্ষীরা : টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে । তলিয়ে গেছে জেলা শহরের সড়ক থেকে গলি, ফসলের মাঠ। হাটু পানি জমেছে শহরের অধিকাংশ এলাকায়। মানুষের বাড়ি ঘরে পানি উঠে গেছে।এতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। তবে প্রশাসন বলছে পানি নিষ্কাশনের জন্য ইতিমধ্যে সুইসগেট মুখগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে এই পানি নেমে যাবে।
জানা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয়তার কারণে সারাদেশের মত সাতক্ষীরাতে ও বষ্টিপাত অব্যাহত আছে। গত ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই সকাল পর্যন্ত জেলায় ৩৫৫ মি.মি. বষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। সর্বশেষ ৫দিন সাতক্ষীরায় সূর্যের ভালো দেখা যায়নি। বৈরি এই আবহাওয়ার কারনে সাতক্ষীরার জনজীবনে নেমে এসেছে সীমাহীন দুর্ভোগ। মানুষ ঘরের মধ্যে হতে বের হতে পারছেনা না। রান্না খাওয়ার সমস্যা, কাজর সমস্যা, বাথরুমর সমস্যাও নানা রোগ ছড়িয় পড়েছে। ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছে না। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই।
স্থানীয়রা জানান, সুষ্ঠ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সাতক্ষীরা শহরসহ জেলার বিভিন এলাকায় প্রতিবছরই জলাবদ্ধ এলাকার পরিধি বেড়েই চলেছে। এবছর বর্ষা মৌসুম শুরুতেই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সাতক্ষীরা শহরসহ জেলার নির্মাণ অঞ্চল গুলো ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি জলবদ্ধতা রূপ দিয়েছে সাতক্ষীরা পৌরসভা ও শহর সংলগ্ন লাবসা, ধূলিহর, ফিংড়িও আগরদাড়ি ইউনিয়ন।
তবে জলবদ্ধতা নিরাশনের জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যা প্রাণ শাহেরের খাল, বেতনা নদী, কপোতাক্ষ নদ খনন করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরার সকল নদী খাল খননের জন্য সাড়ে চারশত কোটি টাকার বেশি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক নদী খাল খনন সম্পন্ন করেছে। তবে সাধারণ মানুষ এর সুফল পাচ্ছে না বলে জানান।
অপরিকল্পিতভাবে ঘেরে তৈরি করে মাছ চাষ করার কারণে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। আবার শহরের ডেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। যার কারণে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। একের পর তলিয়ে যাচ্ছে শহর ও গ্রাম।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শায়াইব আহমদ জানান, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য কয়েকটি স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি অন্যান্য এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।