নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ৩১ জুলাই রাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করা হয়। রামপুরা ক্যাম্পের উদ্যোগে পরিচালিত এ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে একটি পিস্তল, চারটি গুলি এবং বেশ কিছু ধারালো দেশীয় অস্ত্র। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ক্যাম্প ইনচার্জ মেজর সাদমান মানসুর, যিনি দীর্ঘদিন ধরে রামপুরা অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সেনাবাহিনীর বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট একটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই বিপজ্জনক অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। এ অভিযানে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও সন্ত্রাসীদের একটি সংঘবদ্ধ তৎপরতার আভাস পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মেজর সাদমান মানসুর গণমাধ্যমকে বলেন, চাঁদাবাজি, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রথম অঙ্গীকার। রামপুরায় আমাদের এই নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও জোরদার করা হবে।
অভিযান পরিচালনার পর রামপুরা এলাকার সাধারণ মানুষদের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে আসে। তারা জানান, সেনাবাহিনীর এই তৎপরতা অপরাধীদের মনে ভীতি তৈরি করেছে এবং জনসাধারণের মাঝে নিরাপত্তাবোধ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা বলেন, আগে যেখানে সন্ধ্যার পর রাস্তায় চলাফেরা করতে ভয় লাগত, এখন তারা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বোধ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রামপুরা ও আশপাশের এলাকাগুলোকে একটি নিরাপদ, মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ ধরণের অভিযান আরও বাড়ানো হবে। তারা মনে করেন, সন্ত্রাস দমনে শুধু অভিযান নয়, বরং জনগণের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা তৈরিও অত্যন্ত জরুরি।