নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ১ জন


নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ৬ নং ওয়ার্ড সুমিলপাড়া, আইলপাড়া এলাকায়, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন গুরুতর আহত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত ৮টার দিকে বিএনপির শাহ্ আলম মানিক গ্রুপ ও রুহুল আমিন গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন মো. বাবুল নামের এক যুবদল কর্মী।


আহত বাবুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

এলাকার স্থানীয়রা বলেছেন, বিলুপ্ত হওয়া জেলা বিএনপির সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক,শাহ্ আলম মানিক ও স্থানীয় বিএনপি নেতা রুহুল  আমিনের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।  

স্থানীয়রা আরোও জানান, সংঘর্ষের সময় গুলিও বর্ষণ করা হয়েছে,তবে পুলিশ সেটা  অস্বীকার করেছে।

ঘটানা সম্পর্কে বিএনপি নেতা রুহুল আমিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিলুপ্ত হওয়া বিএনপির সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক, মোঃ শাহ আলম মানিক, আমার দলের একজন নিরীহ কর্মীকে রিভলবার দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং তাকে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর করেছে।

আমরা বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌছালে, ততক্ষণে মানিক পালিয়ে যায়,কিন্তু উক্ত বিষয়ে আমাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা গুজব রটিয়ে বলেছে যে, আমরা নাকি সংঘর্ষের সময় গুলি চালিয়েছি। প্রকৃতপক্ষে আমাদের কেউ গুলি চালায়নি, বরং মানিকই ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে অমানুষিক ভাবে নির্যাতন করেছে।

অপরদিকে, শাহ্ আলম মানিক অভিযোগ করেন যে, আমি আমার বাড়ির সামনে বসেছিলাম, হঠাৎ করেই রুহুল আমিন তার ৫০ থেকে ৬০ জন সহযোগী নিয়ে অস্ত্রসস্ত্রসহ আমার উপরে হামলা চালায়, এবং তারা ছয় রাউন্ড গুলিও ছুঁড়ে, এমনকি আমার ব্যানার ভাংচুর করে। 

উক্ত হামলার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবুলের ছোট ভাই সেলিম মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাইয়ের জমি দখলের উদ্দেশ্যে তাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে,  অমানুষিক ভাবে নির্যাতন করেছে মানিক ও তার সহযোগীরা। 

পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে কেউ একজন আমাদেরকে মোবাইলের মাধ্যমে বিষয়টি জানালে,  আমরা তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, এই মানিক বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর, আওয়ামীলিগের অন্যতম প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের সবচেয়ে কাছের ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি ও নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির ছায়াতলে থেকে অবৈধ ভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনেছেন। এখনো বিএনপির সাইনবোর্ড লাগিয়ে ইপিজেডসহ অরিয়ন কোম্পানি ও ডাচ বাংলা পাওয়ার প্লান্টে ব্যবসা পরিচালনা করে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে। 

সংঘর্ষের বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলমকে জিজ্ঞেস করলে, ওসি শাহিনুর আলম জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠিয়েছি,কিন্তু  কাউকে পাওয়া যায়নি। 

শাহিনুর আলম আরোও বলেন, সংঘর্ষে সময় কোনো প্রকারের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে কিনা সে বিষয়ে এখনো আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। এবং এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন