কুমিল্লায় মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মূল আসামি গ্রেফতার

  •  মিলল লোমহর্ষক তথ্য

মো: লুৎফর রহমান (খাজা শাহ্), কুমিল্লা থেকে ফিরে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগম হত্যার মূল আসামিকে গ্রেপ্তার ও রহস্য উদঘাটন করেছে কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।


গত মঙ্গলবার দুপুর ২টায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামির নাম মোবারক হোসেন। তিনি দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে ও পেশায় কবিরাজ।

পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ঝাড়-ফুঁক করার সুবাদে মোবারক হোসেন সুমাইয়া আফরিনদের বাসায় যাতায়াত করত। ৭ সেপ্টেম্বর, রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় সুমাইয়াদের ভাড়া বাসা নগরীর কালিয়াজুরিতে নেলি কটেজ নামের বাসায় প্রবেশ করে মোবারক। এরই মধ্যে মোবারক তাদের বাসায় ঝাড়-ফুঁক করে পানি ছিটিয়ে বেরিয়ে যায়। আবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাসায় প্রবেশ করে, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে।

তিনি বলেন, মোবারক তাদের বাসায় থাকাকালীন সময়ে এক পর্যায়ে সুমাইয়া আফরিনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তার মা বাধা দেন। এতে মোবারক ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাইয়াকে এক ঘরে আটকে মা তাহমিনা বেগমকে অন্য একটি রুমে নিয়ে বালিশচাপায় হত্যা করেন। এরপর সুমাইয়াকে তার রুমে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

এসপি বলেন, সুমাইয়া প্রতিরোধ করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করে। হত্যার পর মোবারক সুমাইয়াদের ঘর থেকে চারটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যায়। র‌্যাব ও পুলিশ পৃথক দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা ব্যক্তিই গ্রেপ্তার খাদেম মোবারক।

এক সাক্ষাতে ডেইলি নিউজ বিডি অনলাইনের নির্বাহী সম্পাদক মো: লুৎফর রহমান (খাজা শাহ্) এর সাথে ধর্ষণ হয়েছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে এসপি মো: নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ধর্ষণ হয়েছে কিনা বিষয়টি ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন