প্রমাণ মিললো সিসিটিভি ফুটেজে
এ.বি.এম.হাবিব :
নওগাঁয় মোঃ রুহুল আমীনের (বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ইট ব্যাবসায়ীর) বাসা সংলগ্ন ৩টি গোডাউন ও তার বসত বাড়ির বিভিন্ন মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী মোঃ রুহুল আমিন নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ হোসেনপুর গ্রামের মৃত আবুল কালাম আজাদের এক মাত্র পুত্র।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রুহুল আমিন এই প্রতিবেদককে জানান,তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ তার দক্ষিণ হোসেনপুরের বাসায় না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তার তিন বোন ও দুলাভাইরা এই লুটপাট এর ঘটনাটি ঘটায়।
তিনি বলেন, লোক মারফত জানতে পেরে বাসায় ফিরে এসে দেখতে পান, তার গোডাউনে নতুন তালা লাগানো আছে। সিসিটিভি ফুটেজ
গত ৩/৯/২০২৫ইং তারিখ হইতে ৬ /৯/২০২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত চেক করে দেখতে পান,
মোছাঃ কারিমা, স্বামীঃ মোঃ নুরুল ইসলাম।
মোঃ নুরুল ইসলাম, পিতাঃ মৃতঃ আক্কাস,
মোছাঃ কোহিনুর, স্বামীঃ মোঃ ফিরোজ খানম,
মোঃ সিরাজুল ইসলাম, পিতাঃ মৃতঃ মোজাম্মেল সাং - উত্তর গ্রাম, মোছাঃ রুনা লায়লা, স্বামীঃ সাফাকাত শরিফ শোভন। মোঃ খান্নম (ফিরোজ), পিতাঃ মোঃ আফাজ। মোঃ সাফাকাত শরিফ শোভন, পিতাঃ মৃতঃ মোবারক আলী, সর্ব সাং-মহাদেবপুর,
সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৮/১০ ব্যক্তি একে একে তার তিনটি গোডাউনের তালা ভেঙে, অটো রাইস মিলের যন্ত্রাংশ, টিন, লোহার অ্যাঙ্গেল, ইত্যাদি প্রায় ১৫ টন।
আনুমানিক মূল্য =৭,৫০,০০০ (সাত লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা।এবং তার নিজ নামীয় গোডাউন থেকে,, রাইস গেটার দুইটা মূল্য ৫ লক্ষ টাকা।
প্যালিসার দুইটা মূল্য ৬ লক্ষ টাকা।
ডিস টোনার দুইটা মূল্য ৩ লক্ষ টাকা।
কম্প্রেসার সেট একটা মূল্য ৫ লক্ষ টাকা।
ছোট ও বড় বিভিন্ন ঘোড়ার মোটর ১৬ টা মূল্য ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। চালনি তিনটা মূল্য ১৫০০০ টাকা।
তামার তার ৭০ কেজি মূল্য ৭০ হাজার টাকা।
এছাড়া ও লুটপাটকারীরা তার নিজ বাসা থেকে,, রোলেক্স ওয়াটার প্রুফ স্বর্ণের ঘড়ি সাত ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার মূল্য ৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
লোহার সিন্ধুক একটি, যার ভেতরে ছিল মায়ের দানপত্রের দলিলপত্র,ন্যাশনাল আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স,৬ টি ব্যাংকের ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড, নগদ ক্যাশ ১৬ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এবং একটি ড্রোন ক্যামেরা মূল্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার।
ডিএসেলার ক্যামেরা একটি মুল্য লেন্স সহকারে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, একটি ল্যাপটপ মুল্য ৪৫ হাজার টাকা। এছাড়াও বাসার নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র কাঁসার থালা-বাসন, কাপ, প্লিজ, কার্পেট,পাপস, ইত্যাদি মোট মুল্য প্রায় ৬০ হাজার টাকা। মোবাইল আই,ফোন ১৬ প্রো মূল্য ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। ভি,ভো কোম্পানির একটি মোবাইল মূল্য ৩৯ হাজার টাকা। ওয়ালটন মোবাইল একটি মূল্য ১৫ হাজার টাকা। samsung কোম্পানির ট্যাব একটি ৩৫০০০ টাকা। স্বর্ণের চেইন তিনটা মোট ওজন সাড়ে পাঁচ ভরি মূল্য ৯ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা।
৪ ভরি ওজনের স্বর্ণের বেসলেট একটি মূল্য ৭ লক্ষ ১২ হাজার টাকা। এলইডি টিভি ৩২ ইঞ্চি সোনি কোম্পানি মূল্য ৪৮ হাজার টাকা। এলইডি টিভি ওয়াল্টন ৪৩ ইঞ্চি মূল্য ৫০,০০০ টাকা। স্বর্ণের লকেট দুইটা মক্কা মদিনার ডিজাইন যুক্ত দুই ভরি মুল্য ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা। স্বর্ণের আংটির ৭টি ওজন চার ভরি মূল্য ৭ লক্ষ ১২ হাজার টাকা। মোবাইল ফোন samsung আল্ট্রা ২৪ মডেল মূল্য ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এই মডেলের হেডফোন ১৮০০০ টাকা। ক্রিকেট ব্যাড একটা মূল্য ১৭ হাজার টাকা। ব্যাডমিন্টন ব্যাড একটা মুল্য ১১ হাজার টাকা। পুকুরের মাছ ধরেছে প্রায় ২ লক্ষ টাকার। চারা গাছ ২০ পিস কেটে ক্ষতি করেছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। সর্বমোট =৯৫,৬৭,০০০(পঁচানব্বই লক্ষ সাতষট্টি হাজার)
টাকা মূল্যের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
এছাড়াও রুহুল আমিন আরো জানান,এ বিষয়ে তিনি থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি,এই লুটপাটকারীরা তার নিকট আত্মীয়। তিনি ভিডিও ফুটেজ দেখে সবাইকে সনাক্ত করে ফেলেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এবং ন্যায্য বিচার চেয়েছেন। তিনি লুটপাট কারীদের কঠিন শাস্তি করে বলেন,যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ আর এরকম ঘটনা ঘটাতে না পারে।
বিষয়টির সত্যতা যাচাইকালে স্থানীয় একাধিক গ্রামবাসীদের সাথে কথা হলে, তারা গোডাউন ও বাসা থেকে মালামাল লুটপাটের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে,
ট্রাক ও শ্যালো মেশিন চালিত ভটভটি যোগে প্রকাশ্যে তিন দিন ধরে লুটপাট কৃত মালামাল বহন করে নিয়ে গেছে বলে জানান।
এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এস,আই আসাদুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি জানান,বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তি জানান।