হাফেজ নজরুল (কুমিল্লা) মুরাদনগর থেকে :
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর জেরে দুই শিশু সন্তানসহ এক বিধবা মাকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের শাহগদা গ্রামে এ অমানবিক ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই বিধবা নারীকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করারও অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরুপায় হয়ে তিনি ন্যায়বিচারের আশায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী হাসনা আক্তারের স্বামী সূর্য মিয়া প্রায় চার বছর আগে মারা যান। এরপর থেকে দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে স্বামীর রেখে যাওয়া আধা শতক জমির ওপর একটি ছোট টিনের ঘরে কোনোমতে দিনযাপন করছেন তিনি।
হাসনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দুই বছর আগে একই গ্রামের খবির উদ্দিন তার কাছে ৫০ হাজার টাকা ধার চান। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শুরু হয় নানা হয়রানি। তাকে পুকুরঘাটে যাতায়াতে বাধা দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন অজুহাতে দুইবার মারধরেরও শিকার হন। পরে খবির উদ্দিনের ছেলে আল-আমিন ও মতিউর জালাল উদ্দিনের ছেলে আরিফ মাহমুদ রুবল তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় গত ২৭ আগস্ট অভিযুক্তরা হাসনা আক্তারের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তাকে মাটিতে ফেলে টানা-হেঁচড়া করে শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে। চলে যাওয়ার সময় তারা হাসনাকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দেয়।
হাসনা আক্তার আরও জানান, অভিযুক্তরা তাকে ‘নষ্টা মেয়ে’ আখ্যা দিয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি গত ৩০ আগস্ট বাঙ্গরা বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।অবশেষে বাধ্য হয়ে গত মঙ্গলবার তিনি কুমিল্লার ১১নং আমলী আদালতে খবির উদ্দিন, আল-আমিন ও আরিফ মাহমুদ রুবলের বিরুদ্ধে পিটিশন মামলা দায়ের করেছেন। তিনি ন্যায়বিচার ও প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Tags
মুরাদনগর
