পাঁচ দফা দাবিতে মৌলভীবাজারে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান


নিজস্ব প্রতিবেদক, মোঃ জালাল উদ্দিন : ‘জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন’—সহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা শাখা।

আজ রবিবার (১২ অক্টোবর ২০২৫ ইং,) বাদ জোহর মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনা দেওয়ানী মসজিদের সামনে থেকে জেলা জামায়াতের উদ্যোগে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।সমাবেশে দলের বিভিন্ন স্তরের শত শত নেতা–কর্মী ও সমর্থক অংশগ্রহণ করেন।

মিছিল শেষে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেনের নিকট তাদের পাঁচ দফা দাবী সম্বলিত একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করে। জেলা প্রশাসক অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত জামায়াত নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানান ও স্মারক লিপি গ্রহণ করে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঠিয়ে দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মোঃ আব্দুল মান্নান, জেলা আমির ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহেদ আলী, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মোঃ ইয়ামীর আলী, সহকারী সেক্রেটারি আলাউদ্দিন শাহ, মাওলানা হারুনুর রশিদ তালুকদার, আজিজ আহমদ কিবরিয়া, পৌর আমির হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা আমির মোঃ ফখরুল ইসলাম, রাজনগর উপজেলা আমির আবু রাইয়ান শাহীন, কমলগঞ্জ উপজেলা আমির মোঃ মাসুক মিয়া, শ্রীমঙ্গল উপজেলা সেক্রেটারি মোঃ আশরাফুল ইসলাম কামরুল, ছাত্রশিবির শহর সেক্রেটারি কাজী দাইয়ান আহমদসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।

মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহেদ আলী স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে যে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয় তা হলো—১. আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে জুলাইয়ে গৃহীত জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং উক্ত আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন। ২. আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি চালু করা। ৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকল দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। ৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম, নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার এবং দুঃশাসনের অবসান ঘটানো। ৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।

জেলা জামায়াত নেতারা বলেন, জনগণের অংশগ্রহণ ও জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। তাদের এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে দেশ আবারও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়বে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন