সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামী ঢাকা থেকে গ্রেফতার


এ.বি.এম. হাবিব : মানুষদের বিভিন্ন ভাবে প্রলোভনে ফেলে, টাকা আত্মসাৎ কারী ও ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে প্রায় ২ বছর পর, ঢাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে নওগাঁর রানীনগর থানা পুলিশ। অপর আসামী কাজল এখনো পলাতক রয়েছে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার রাতোয়াল ইউনিয়নের মালশন গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে কাজল,সাগর,শফিকুল,সুমন পূর্ব পরিচিত সহজ,সরল মনের মানুষ হামিদুলকে নওগাঁ শহরস্থ (মাষ্টারপাড়ায়) ১০ কাঠা জমি বিক্রয় করবে বলে ,প্রলোভন দিতে থাকে। এক সময় জমিটি পছন্দ হওয়ায় নওগাঁ সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের চকনদীকুল গ্রামের হামিদুল দামদর ঠিক করে, জমিটি রেজিষ্টেরীর কথা বললে,তারা বলে সমস্যা নেই আপতত ৮ লক্ষ টাকা দেন, এরপর রেজিষ্ট্রির দিনে বাঁকী টাকা দিলেই হবে,ঢাকাতে তারা একটি ফ্ল্যাট কিনবে খুবই জরুরী বলে গত (২৪ এপ্রিল) ২০১৯ ইং তারিখে প্রথম ৮লক্ষ টাকা তারা নেয়। এরপর থেকে রেজিষ্ট্রি করে দেবো, দিচ্ছি বলে বলে ৫ জুলাই ২০১৯ইং তারিখের মধ্যে ৬ বারে ১৯ লক্ষ দুই হাজার টাকা তারা নেয়। কিন্তু জমিটি রেজিষ্ট্রি করে দেয় না,টাকাও ফেরত দেয় না। সহজ, সরল হামিদুল ইসলাম বিপাকে পড়ে যায়।  এরপর প্রতারকরা ৩০০ টাকা দামের নন-জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে লিখিত করে দেয় ১ মাসের মধ্যে জমি দেবে না,টাকা ফেরত দেবে। কিন্তু ১মাস গত হয়ে গেলেও টাকা তো দেয় না, উল্টো টাকা দেবে না মর্মে কি করতে পারবি, এভাবে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। তিনি কোন উপায়-অন্ত না পেয়ে, বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নেন। আদালতে দু,পক্ষের কুশলীদের তর্কবিতর্কে মামলাটি সাক্ষ্য প্রমানে প্রমাণিত হয়। এবং বিজ্ঞ আদালত আসামি কাজল ও সাগরকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন,অনাদায়ে আরো ২মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। আসামিরা প্রায় দীর্ঘ ২ বছর পলাতক থাকায়,নির্ভরযোগ্য গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার বাড্ডা থানা ও ডিবি পুলিশের সহায়তায় রানীনগর থানার তদন্ত ওসি বাবলু চন্দ্র পালের নেতৃত্বে এস আই রাশেল বাড্ডা থানাস্থ এনা ভবন খিলবাড়ি টেক  নুরে সালা রোড, বাড়ি ধারা Z  ব্লকের দক্ষিন পাড় হতে সাগর নামের এই আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। অপর আসামি কাজল এখনো পলাতক রয়েছে। 

জানা যায়, অপর আসামি কাজল পুলিশ কন্সটেবলের চাকুরী করতো সুনামগঞ্জে । এই আসামিরা রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায়, বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে একাধিক লোককে সর্বশান্ত করেছে। এমন লিখিত অভিযোগ সুনামগঞ্জ থানার ওসি সাহেবকে দিলে,তার বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টালি ব্যাবস্থা গ্রহণ করার আগেই, সেখান থেকে চাকরীরত অবস্থায় পালিয়ে যায় কন্সষ্টেবল কাজল এবং বর্তমানেও সে পলাতক রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন