এ.বি.বি.এম.হাবিব :
নওগাঁয় তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করার পরও আইনানুগ সময়ে তথ্য না দেওয়ায় জেলার ৩জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ৩জন উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেছেন দৈনিক আজকের বাংলা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক সবুজ হোসেন।
জানা গেছে, দৈনিক আজকের বাংলা পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি সবুজ হোসেন তথ্য অধিকার আইনের আওতায় গত ১৪ই সেপ্টেম্বর বদলগাছি, ৭ই সেপ্টেম্বর সাপাহার ও ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। পাশাপাশি ৮ই সেপ্টেম্বর নওগাঁ সদর, ৭ই সেপ্টেম্বর সাপাহার ও ১৪ই সেপ্টেম্বর পত্নীতলা উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলীদের কাছেও পৃথকভাবে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আবেদন দাখিল করেন।
কিন্তু নির্ধারিত ২০ কার্যদিবস অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট কোনো দপ্তর থেকে চাহিদাকৃত তথ্য প্রদান করা হয়নি। এ অবস্থায় তিনি তথ্য অধিকার আইনের ধারা ২৪ অনুযায়ী আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে বাধ্য হন।
এর মধ্যে বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান ছনির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক নওগাঁ বরাবর আপিল আবেদন, পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধেও পৃথকভাবে আপিল আবেদন করেছেন।
অন্যদিকে, নওগাঁ সদর, পত্নীতলা ও সাপাহার উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধেও জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আপিল আবেদন করেছেন সাংবাদিক সবুজ হোসেন।
আপিল আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, “তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক হলেও কোনো কর্মকর্তা তা মানেননি, যা স্পষ্টতই আইনের অবজ্ঞা।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকারি কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে জনস্বার্থে তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। তিনি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও তথ্য প্রদানের নির্দেশনা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আপিল আবেদন বিষয়ে জেলা প্রশাসকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় জেলা প্রশাসকের কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আবেদন পাওয়ার পরেই ওই তিন উপজেলা প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলেছি তারা শীঘ্রই আইন অনুযায়ী চাহিত তথ্য আবেদনকারীর নিকট প্রদান করবেন। তবে বেশকিছু তথ্য রয়েছে যেগুলো উপজেলা পরিষদের প্রশাসক অর্থাৎ বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি ব্যতীত দিতে পারবেন না; সেগুলো লিখে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছি বলে তিনি জানান।
