মোঃ আব্দুর রহীম মিঞা (টাঙ্গাইল) জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের সমশের ফকির ডিগ্রি
কলেজে অধ্যক্ষের (ভারপ্রাপ্ত) স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ ও এমপিও করার অভিযোগ উঠেছে সহকারি লাইব্রেরি ফাতেমা খাতুন ও বোটানি লাব সহকারি তৌহিদা আক্তার তন্নির বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষের (ভারপ্রাপ্ত) স্বাক্ষর ছাড়াই বেতন সীটে নাম (এমপিও সিটে) আসে তাদের দুই জনের। এ তথ্য জানিয়ে অবৈধ নিয়োগ ও স্বাক্ষর জালকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ভূঞাপুর ববাবর আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর সাত্তার ।
অন্যদিকে প্রথম স্থান অধিকার করেও নিয়োগ না পাওয়ায় প্রতিকার চেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষ ও আইসিটি) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী আমিনা খাতুন। অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জানান চার বছর আগে নিয়োগের ব্যাবস্থা গ্রহণ করায় সে পদে এখনও নিয়োগ না হওয়ায় সহ-গ্রন্থাগারিক ও বোটানি ল্যাব সহকারি পদ খালি রয়েছে। সেখানে সেই পদে মার্চ ২০২৩ সালে সহ- লাইব্রেরি ফাতেমা খাতুন (ইডেক্স নংঘ৫৬৮৪৪৬১৫) ও বোটানি ল্যাব সহকারি তৌহিদা আক্তার তন্নির (ইডেক্স নংঘ৫৬৮৪৪৫৪২) তাদের নামে বেতন আসে। জানা যায় ২০১৯ সালে উপজেলার নিকরাইল শমসের ফকির ডিগ্রি কলেজের সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগের জন্য জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বি‘প্তি দেওয়া হয়। কিন্ত বোটানি লাব সহকারি পদে পত্রিকায় আদ্রো কোন নিয়োগ বি‘প্তি প্রকাশ করা হয়েছে কিনা তা জানেন না বলে জানান কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর সাত্তার । সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বি‘প্তি প্রকাশ পাইলে মোট ৫ জন প্রাথী আবেদন করেন এবং পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। সহ-গ্রন্থাগারিক পদে আবেদনকারীরা হলে হলেন আমিনা খাতুন, ফাতেমা খাতুন,আনোয়ার হোসেন, এম এ মান্নান ও মোঃ জুয়েল রানা । কিন্তু বোটানি ল্যাব সহকারি পদের নিয়োগের কোন তথ্য কলেজে নেই বলে জানা যায়। কলেজ সূত্রে জানা যায় সহ-গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয় ২০২১ সাল্ধেসঢ়; । সে সময় সরকারি সা’দত কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেরসর মোঃ আঃ আলীম এবং বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন বিষয় রসায়ন উপস্থিত থেকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল সীট তৈরি করেন। এতে প্রথম স্থান অর্জন করেন আমিনা খাতুন এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ফাতেমা খাতুন। ফলাফলের ভিত্তিতে আমিনা খাতুনকে সামরিকভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন গভর্নিং বডি (জিবি)। পরর্বতিতে নিযোগ স্থাতিগ করে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে বোটানি লাব সহকারি পদে পত্রিকায় বি‘প্তি, নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে কিনা তা অধ্যক্ষের জানা নেই বলে জানান। এর কিছু দিন পর এসব পদের নিয়োগ চলে যায় এনটিআরসি এর হাতে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান , কলেজের সহ লাইব্রেরিয়ান পদটি স্থাগিত হয়েছিল । এর আগের এসব পদের নিয়োগের গু”ন শুনে আসছিলাম। বিশ্বাস হচ্ছেছিল না। একদিন আমার কাছে দ্বিতীয় হওয়া ব্যক্তির
প্রত্যয়নের জন্য আসছিল। আমি তাকে প্রত্যয়ন দেইনি। তারপর থেকে আমার সাথে কারো কোন যোগাযোগ হয়নি এ বিষয়ে আর কিছু জানা নেই। হঠাৎ করে মার্চ মাসের এমপিও সীটে তাদেও নাম আসায় হতবাক হয়েছি। যে নিয়োগ সর্ম্পকে কোন কাগজপত্র ও গভর্নিং বডির কোন অনুমোদন নেই । এ ছাড়া তারা কোন দিন কলেজে আসেনি এবং হাজিরা খাতায় তাদের কোন স্বাক্ষরও নেই।
তিনি আরো জানান নতুন দুই জনের বেতন আসার বিষয়টি আমাকে অবগত করেন কলেজের বাংলা বিষয়ের প্রভাষক লোকমান হোসেন তালুকদার । আমিতো আমার সময়ে কাউকে নিয়োগ দেই নাই;কোন কাগজপত্রে স্বাক্ষরও করি নাই তাহলে তাদের বেতন আসে কি করে? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই প্রভাষক জানান পূর্বের অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার আপনার স্বাক্ষরের প্রয়োজন পড়ে নাই। কিন্ত ডিডি অফিসে ( ময়মনসিংহ) জমা দেওয়া অনলাইনে কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায় উভয়ের কাগজপত্রে আমার স্বাক্ষর রয়েছে। সে স্বাক্ষর আমার নয় জাল করা হয়েছে। আরো জানা যায় সহ-লাইব্রেরিয়ান পদে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিন কলেজের বাংলা বিষয়ের প্রভাষক লোকমান হোসেন তালুকদারের আপন ভাগ্নি । কলেজ গভর্নিং সভাপতির বলেন বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তদন্ত করে দোষি ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বেলাল হোসেন বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান।