Daily News BD Online

বাকেরগঞ্জে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধ কমিটি বহাল তবিয়তে নেপথ্যে শিক্ষা বোর্ডের গাফিলতি

 


মোঃ শাখাওয়াত হোসেন :- 

বাকেরগঞ্জে নিয়ামতি ইউনিয়নের কাফিলা রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটি ও অবৈধ নিয়োগ বানিজ্যর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রায় গুরুত্ব দিচ্ছে না কতৃপক্ষ এমনটাই অভিযোগ করেন মামলার বাদী ফারুক আলম খান। তিনি জানান অবৈধ ভাবে গঠিত কমিটির বিরুদ্ধে বাদি হয়ে উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের করি। মামলাটি বিভিন্ন জটিলতা মোকাবিলা করে  দীর্ঘদিন অপেক্ষা শেষে আদালত কমিটি অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে সে রায়ের বিরুদ্ধে লিপ টু আপিল করেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম। যার বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ। তিনি লোকাল প্রশাসন থেকে শুরু করে সবাইকে ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কনভেস্ট করে ধরাকে সরা জ্ঞান করেন। তা সত্বেও  সার্বিক বিষয়ে উচ্চ আদালত আমলে নিয়ে ওদের সকল কর্মকান্ড বাতিল করে আপিল আবেদন খারিজ করে দেয়। এ সংক্রান্ত হাইকোর্ট থেকে অবৈধ কমিটি বাতিল করতে শিক্ষা বোর্ডকে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেন। পরবর্তীতে ঘটনা স্থলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের স্কুল পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম উপস্থিত হলে। প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম কৌশলে ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও স্কুল পরিদর্শক রফিকুল ইসলামকে হাত করে অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কালক্ষেপণ করেন। এ বিষয় মামলার বাদি ফারুক আলম খান অভিযোগ করে বলেন সম্ভবত মোটা  অংকের টাকার বিনিময় অবৈধ কমিটি উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে এখন পর্যন্ত বহাল রেখেছে কতৃপক্ষ, কমিটি বাতিল ঘোষণা না করে এখন যা কিছু ঘটছে  তা সম্পূর্ণ আদালত অবমাননা শামিল। ইতিপূর্বে অবৈধ কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক পরস্পর যোগ সাজশে নিয়োগ বানিজ্য করা সহ স্কুলের বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করা সহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। শুধু সেগুলো করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি বর্তমানে আরেকটা নিয়োগ বানিজ্যের জন্য গোপনে পায়তারা করে আসতেছে। তাদের সকল কর্মকান্ড অবৈধ থাকা সত্ত্বেও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক ও অবৈধ কমিটির সভাপতি। ইতিপূর্বে কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে  নারী কেলেংকারী সহ নানান অপকর্মের বিষয় জনসম্মুখে প্রকাশ হলেও ব্যবস্থা নেননি কতৃপক্ষ। উল্টো অবৈধ কমিটির অবৈধ কর্মকান্ডের সমার্থন দিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষা বোর্ড কতৃপক্ষ। এ সব অভিযোগের বিষয় জানতে বরিশাল মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকা মিটিং এ আছেন বলে লাইন কেটে দেন পূনরায় যোগাযোগ করা হলে বলেন তিনি এ বিষয় কোনো রিপোর্ট এখনো হাতে পাননি বলে জানান। অন্যদিকে স্কুল পরিদর্শক রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিকালের মধ্যে বিষয় টির চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান। কিন্তু পরবর্তী দুদিন ধরে  কয়েকবার চেষ্টা করে ও তাকে লাইনে পাওয়া যায়নি। এ বিষয় স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ স্কুলের অনিয়ম দুর্নীতি দমন, এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কমিটির সদস্য ফারুক আলম খানের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এমন টালবাহানা করে মূলত কতৃপক্ষের উদাসীনতার মানে পরিস্কার হয়ে উঠছে। তারা এ বিষয় বিস্ময় প্রকাশ করে অনতি বিলম্বে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও হাইকোর্টের আদেশ অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন