Daily News BD Online

বিয়ে করে যৌতুক আদায় করাই তার উদ্দেশ্য, এখন কারাগারে


আসিফ ইকবাল। বিয়ে করাই তার নেশা। এক বিয়েতে ক্ষান্ত নয়। বিয়ে করে কয়েকমাস রেখে আবারও শুরু করে অন্য নারীর সঙ্গে যোগাযোগ। গোপনে চালায় প্রেমের সম্পর্ক। পরে আগের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবারও বিয়ে করেন তিনি। এভাবেই বিয়ে করেছেন অন্তত ৪টি। বিয়ে করে স্ত্রীদের কাছ থেকে যৌতুক আদায় করায় তার উদ্দেশ্য।

বুধবার (১৯) বিকেলে ৩য় স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত তাকে।

আসিফ ইকবাল সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের আকরাম আলীর ছেলে।

জানা যায়, আসিফ ইকবাল বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকের চট্টগ্রাম শাখায় ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশ অফিসার পদে কর্মরত। ২০১৬ সালে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণ মামলা করলে সেই মামলায় কারাগারে যায় আসিফ। পরে ওই মেয়েকে বিয়ে করার পর পরিবার থেকে মামলা তুলে নিলে ছাড়া পায় সেই। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরই সেই মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। এরপর বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে আবারও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আসিফ। ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর আবারও নারীদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। ২য় স্ত্রী থাকা অবস্থায় আবারও বিয়ের জন্য উঠেপড়ে লাগেন। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই ২য় স্ত্রী থাকা অবস্থায় বিষয়টি গোপন করে ঝিনাইদহের বনানীপাড়ার ফাতেমাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে ঝিনাইদহে অবস্থান করে আসিফ। ২য় স্ত্রী থাকা অবস্থায় আবারও বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ২য় স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়। ফাতেমাকে বিয়ের কিছুদিন পর আবারও পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। সর্বশেষ তার কাছ থেকে যৌতুক দাবি করা শুরু করে। যৌতুক না দিলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। যৌতুক না পেয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে ফাতেমাকে ডিভোর্স দেয়। পরে আবারও উম্মে হাবীবা প্রান্তি নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে।

৩য় স্ত্রী ফাতেমা বলেন, আসিফ প্রতারক ও যৌতুক লোভী। ২য় স্ত্রী থাকা অবস্থায় আমাকে বিয়ে করে। আমার পর আরও এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। তার নেশায় যেন বিয়ে করা। এমনকি চতুর্থ বিয়ে করা অবস্থায় ফেসবুকে এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে তাকেও বিয়ে কথা বলেছে। আমার কাছ থেকে যৌতুক না পেয়ে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। আমি মামলা করেছি সেই মামলায় আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহিন উদ্দিন বলেন, আদালতে জামিন চাইলে বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন