কাইয়ুম খান, খুলনা :
বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য উপাত্ত চাইলে দিতে অশিকৃতি জানায় উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শোভন সরকার । একপর্যায়ে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা প্রকৌশলী কে তথ্য দিতে নির্দেশনা দেন তার এই নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে তথ্য উপাত্ত না দিয়েই বিদায় করেন এ প্রতিবেদককে । স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়,নানা অনিয়মে চলছে দেবহাটা উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যক্রম। ভবন, স্থাপনা, রাস্তাঘাট নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও অনৈতিকভাবে আর্থিক মুনাফা লোটার অভিযোগ রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে । সরেজমিন তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে চলছে দেবহাটা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কাজ । দুই বছর যাবত কাজ চলমান থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম, কাজ শুরুর তারিখ, সমাপ্তির তারিখ, বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ, বাস্তবায়নকারী সংস্থা এ ধরনের তথ্যসম্বলিত কোন সাইনবোর্ড নাই নির্বানাধীন ভবনের সামনে । নিম্নমানের বালু পাথর দিয়ে চলছে ঢালাইয়ের কাজ । সার্বিক তথ্য নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী শোভন সরকারের সাথে সরাসরি আলাপ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন সাইনবোর্ড লাগানো কোন গুরুত্বপূর্ণ কথা নয় ওই টাকাটা প্রকল্পের কাজে লাগালেই ভালো হয় । তার দেওয়া তথ্য মতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির নাম এম আই ট্রেডিং, দৌলতপুর, খুলনা। বরাদ্দের পরিমাণ সাত কোটি টাকা কাজ শুরুর তারিখ জুন ২০২৩। কাজ সমাপ্তির তারিখ ডিসেম্বর ২০২৪ হলেও প্রকল্পের অগ্রগতির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা আরও সময় এক্সটেনশন করতে পারব। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কথা বললে তিনি বলেন সব ঠিক আছে। ২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপি প্রকল্পের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি লাগবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন প্রতিবেদনের স্বার্থে প্রকল্পের তালিকা দিয়ে দেওয়ার জন্য । কিন্তু প্রকৌশলী শোভন সরকার তালিকা দিতে টালবাহানা করেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেন সবকিছু কি দেয়া যায় স্যার! উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে তালিকা না পেয়ে পরবর্তীতে কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ ঘুরে এডিপির তালিকা সংগ্রহ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করলে তারা জানায়, এলজিইডির সমস্ত কাজই এখানে নিম্নমানের মালামাল দিয়ে হয়। ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর জোগসাজেসে এ ধরনের কার্যক্রম চলে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে চেষ্টা করছি সঠিকভাবে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য। এডিপি প্রকল্পসমূহের তালিকা না দেওয়ার ব্যাপারটি খুবই দুঃখজনক , নির্মানাধীন উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের সাইনবোর্ড না দেওয়ার ব্যাপারটি বেআইনি। এই ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কামরুজ্জামান এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি নানান ব্যস্ততা দেখান ।
Tags
খুলনা