নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সহবতপুরের খামারধল্লা এলাকায় বৃদ্ধা নুরজাহান বেগম (৬৫) হত্যা মামলায় ইউপি সদস্য মো. তোফায়েল হোসেন তোফাকে (৪২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
তোফাজ্জল হোসেন তোফা মাহমুদনগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বাঘেরবাড়ী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য দুদু মিয়ার ছেলে।
এর আগে ৬ মে এই মামলায় ভোলার ফকিরকান্দি চর গ্রামের মৃত আফতাফ মোল্লার ছেলে মো. কালাম মিয়া (৩৮) নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
(বৃহস্পতিবার, ৮ মে) বিকেলে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ১২ মার্চ নাগরপুরের সহবতপুর গ্রামের খামারধল্লা মাঠে নুরজাহান বেগম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
পরদিন ওই বৃদ্ধার ভাতিজা মো. দুলাল মিয়া বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। মামলার রহস্য উদঘাটন করার জন্য তথ্য প্রযুক্তির পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক প্রাসংগিক বিষয়সমূহ পর্যালোচনা করা হয়।
তদন্তকালে প্রযুক্তির সহায়তায় ৫ মে কালাম মিয়াকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন কালাম নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
তিনি জানান, কালামের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৬ মে রাতে তোফায়েল হোসেন তোফাকে নাগরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (৭ মে) তোফাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠালে বিচারক দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধে জেরে ওই বৃদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। মামলা তদন্ত চলমান রয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’