আজাদ হোসাইন : বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলাধীন ১ নং বিবিচিনি ইউনিয়নের কাটা খালি বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একাধিক দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন বরগুনা জেলার মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বাদল।
এঘটনায় স্থানীয়রা জানান সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুর ছত্রছায়ায় থেকে নানা অনিময় দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিল এই মৎস্য কর্মকর্তা।
বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মধ্য দিয়ে মৎস অধিদপ্তরের নানা প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎকৃত টাকার এক অংশ দেওয়া হতো সংসদ সদস্য এবিএম ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুকে।
তার এই অনিয়ম ও দুর্নীতির উপার্জনকৃত অর্থ দ্বারা যে সম্পদ করা হয়েছে তার বেশি ভাগই মৎস্য কর্মকর্তার আপন ছোট ভাই আলমগীরের নামে।
যার মধ্যে রয়েছে, বড় চারটি মাছ ধরার "ট্রলার" এগুলো দেখাশুনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তার ভাই আলমগীরকে।
বরগুনা সদর কলেজ রোডে"রাব্বি এন্টারপ্রাইজ" নামক একটি দোকান রয়েছে ছোটো ভাই আলমগীরের নামে, স্থানীয়রা আরো জানান, পূর্বে অনিয়ম দুর্নীতি করে ধরা খাওয়ায় মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ঝালকাঠি জেলায় বদলি করে তাকে।
পরবর্তীতে সাবেক সংসদ সদস্য শম্ভুর সহযোগিতায় পূনরায় বরগুনা জেলা অফিসে যোগদান করেন। গত ০৫ আগস্টে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও পালাতে পারেনি আওয়ামী লীগের দোসর, সংসদ সদস্য এবিএম ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভু, তাকে ঢাকা উত্তরা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ শম্ভু গ্রেফতার হয়ে জেল-হাজতে থাকলেও তার অত্যন্ত আস্থাভাজন বরগুনা জেলার মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল আমিন বাদল আওয়ামী লীগের দোসর এখনোও বহাল তরবিয়তে রয়েছেন।
মৎস্য কর্মকর্তা বাদলের এক ঘনিষ্ঠজন জানান, রুহল আমিন বাদলের রয়েছে দুইজন স্ত্রী।
প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করায়, প্রথম স্ত্রী তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন, উক্ত মামলায় ২ মাস জেল হাজতে থাকার পরে, সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে দিয়ে ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রথম স্ত্রীর সাথে মামলার নিশ্বপত্তি করেন।
পরবর্তীতে নিজ গ্রামে নির্মাণ করেছেন আলিশান বাড়ি,চলাফেরা করেন দামি মোটর সাইকেলে যার আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা, যানা জায়, এই মৎস্য কর্মকর্তা অনিয়ম দুর্নীতির অর্থ দ্বারা অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন।
এ বিষয়ে রুহুল আমিন বাদলের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তিতে দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন তার সত্যতা স্বীকার করেন, তবে উক্ত বিষয় নিয়ে পূর্বে অভিযোগ হয়েছে এবং উক্ত অভিযোগের তদন্ত হয়েছে তিনি সেটাও জানান,তবে তার নামে বেনামে সম্পদের কথার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
এই বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরে প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত এস, এম, রেজাউল করিম এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে, তিনি জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি দখল করে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কেন?
তবে বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমেই জানলাম আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।