নওগাঁয় ৬ষ্ট শ্রনীর ছাত্রীকে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ


এ.বি.এম.হাবিব (নওগাঁ) : নওগাঁয় বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।।

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের ও ভীকটিমের কাছ থেকে জানা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার বলিহার ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের মোঃ দুলাল সরদারের মেয়ে রসুলপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রনীর ছাত্রী নওশিন (১২)। বাড়ী থেকে স্কুল প্রায় ২কিলোমিটার দুরে। প্রায় প্রতিদিনই আসলামের বখাটে ছেলে শহিদ ইভটিজিং করতো এবং ভয়ভীতি দেখাতো। মাঝে মধ্য শহিদ নওশিনের বাবার ফোনে কল করে নওশিনের বিষয়ে কথাবার্তা বলতো,নওশিনের বাবা শাষন মুলক কথাবার্তা বললে, তাকেও হুমকি-ধমকি দিয়ে বলতো,তোর মেয়েকে একদিন না একদিন কিছু করেই ছাড়বো। এসব কথা শুনে, নওশিনের বাবা এলাকার মন্ডল-মাতবরদের দিয়ে শাষন করায় বখাটে শহিদকে। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে।

গত বৃহস্পতিবার (৩জুলাই) নওশিনের বাবা-মা ও ভাই আত্নীয়র বাড়ীতে গেলে,সেই সুযোগে বখাটে শহিদ ও তার চাচাতো ভাই আলামিনকে সঙ্গে নিয়ে  রাত ৯টার দিকে দুলালের বাড়ীতে ঢুকে উৎ পেতে থাকে। নওশিন বিদ্যুৎ না থাকায়, চার্জার ফ্যান নেওয়ার জন্য দরজা খুলে বের হলে, বখাটেরা  নওশিনের মুখ চেপে ধরে বাহিরে নিয়ে যায়। নওশিনের বৃদ্ধ দাদা-দাদী ঘুমিয়ে ছিল পাশের ঘরে কিন্তু তারা জানতে পারে নাই।  এরপর পুকুরের দক্ষিন পার্শে শহিদের বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে (সেদিন রাতে বখাটে শহিদের বাবা-মাও তাদের বাড়িতে ছিল না) আলামিনের সহযোগিতায় জোর পূর্বক পাজামা খুলে ধর্ষণ করতে লাগে। এতে নাবালিকা নওশিন জোরে চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন জেগে উঠে শহিদের বাড়ীর দিকে আসতে দেখে, শহিদ ও আলামিন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকার মহিলারা নওশিনের জামা-কাপড় পড়িয়ে বাহিরে নিয়ে যায়।পরের দিন সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ধর্ষক শহিদদের বাড়িতে উপস্থিত হলে দেখা যায়, শত শত মানুষের ভীড় জমে আছে এবং ধর্ষিত সেখানে বসে কাঁদছে। তাকেও স্থানীদের জিজ্ঞাসা করলে বিস্তারিত জানাতে পারে সাংবাদিকরা। এ বিষয়ে বখাটে শহিদের বাবা আসলামের কাছে জানতে চাইলে, সে জানায়, তার ছেলে শহিদ ছাড়া পরিবারের সবাই, মেয়ের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিল। সে ফোনের মাধ্যমে বিষয় গুলো জানতে পেরে বাড়ীতে এসেছে।  সে আরো সাংবাদিকদের বলে, তার ছেলেও নাবালক, সবাই স্থানীয় ভাবে বসে মিমাংসা করার কথা বলছে, তাই সে সন্ধ্যার পরে এলাকার মন্ডল মাতবরদের নিয়ে বসে, বিষয়টি ফুরিয়ে ফেলবে বলে জানায় এবং  এলাকার চৌকিদার, মেম্বার ও ওয়ার্ড বিএনপি,র নেতাদের মাধ্যমে মেয়েটিকে তার বাবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।

পরবর্তীতে স্থানীয় মন্ডল মাতবর উপস্থিত হয়ে ধর্ষকের পিতা আসলামকে ডাকলে, সে অনেক পরে সেখানে উপস্থিত হয়ে, কোন মিমাংসা করবে না,এতে তার ছেলেও নাবালক, তাকে কিছুই করতে পারবে না বলে, চলে যায় সেখান থেকে। 

পরবর্তীতে কোন উপায় না পেয়ে ভীকটিমের বাবা সকলের সাথে আলাপ-আলোচনা করে গত ৮জুলাই নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৬৪/২৫ইং নাঃ শিঃ। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। নওগাঁ পিবিআই তদন্ত অফিসার এস আই রিপন মিঞা জানান, মামলাটি তদন্তের জন্য গত ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার ভীকটিমকে মেডিকেল করানো হয়েছে এবং বর্তমানে তদন্ত অব্যহত আছে বলে জানান।

অন্য দিকে ধর্ষকের পিতা আসলাম আদালতে তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কথা জানতে পেরে,সেও একটি চাঁদা দাবী, হুমকি,ধামকির মিথ্যা হয়রানি মুলক মামলা করেছে যার কোনই ভিত্তি নেই বলে এলাকাবাসী জানান।

স্থানীয়রা জানায়,ধর্ষিতর পিতা নিতান্তই একজন গরীব মানুষ প্রতিদিন কাজ না করলে,সংসার চলবে না তার। আর এই বখাটে ছেলে ছোট থেকেই পাকনা। এর একটা সুষ্ট বিচার হলে এলাকাবাসী খুশি হবে এবং আর কোন অপরাধীরা, এমন ঘটনা দ্বিতীয় বার ঘটানোর সাহস পাবে না। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন