নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন ৭৩ নং ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সালমা সুলতানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে জানা যায়, ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণী থেকে ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফী বাবদ নেওয়া হচ্ছে ৫০/- টাকা, ৩য় শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফী বাবদ নেওয়া হচ্ছে ১২০/- টাকা, এবং স্কুলে সরকারি দপ্তরী থাকা সত্বেও স্কুলের আয়া-বুয়ার নাম করে প্রতি মাসে জনপ্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ২০০/- টাকাসহ আরোও বিভিন্ন কৌশলে অনিয়ম-দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে স্কুলের সামনে গিয়ে, বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিবাবকের বক্তব্য নিতে চাইলে তারা প্রথমে ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোনোরকম বক্তব্য দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।
পরবর্তীতে নাম প্রকাশ নাকরার শর্তে কয়েকজন বলেন, আমরা এই প্রসঙ্গে কিছু বললে আমাদের বাচ্চারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে পারে, তাই নাম প্রকাশ নাকরার শর্তে কয়েকজন বলেন, আমরা এই মাত্র আমাদের বাচ্চাদের ফী বাবদ ৫০/- টাকা এবং বুয়ার বেতন বাবদ ২০০/- টাকা দিয়ে আসলাম। এমনকি ছাত্রদের ছোট একটা রুটিনের জন্যেও ১০/- টাকা দিতে হয়েছে।
আমরা গরীব তাই আমাদের বাচ্চাদের সরকারি স্কুলে ভর্তি করেছি, কিন্তু এখানেও টাকা দিতে হয়, টাকা ছাড়া কোথাও কিছু করা যায়না, তাহলে সরকারি স্কুলে ভর্তি করে কি লাভ বলেন? আমরা আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে আসি,স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক আমরা যদি তার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেই তাহলে উনি মনে কষ্ট পাবে, এমনকি আমাদের বাচ্চারা শারীরিক নির্যাতনের শিকারও হতে পারে, দয়াকরে আমাদের কথা প্রকাশ করবেননা।
উক্ত অভিযোগের বিষয় প্রধান শিক্ষিকার নিকট জানতে চাইলে শিক্ষিকা সালমা সুলতানা বলেন, বিদ্যালয়ের ছয়টি বাথরুম রয়েছে সেগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের কাজ করার জন্য একজন বুয়াকে নিয়োগ দিয়েছি, সেই কাজ বুয়াকে দিয়ে করানো হয়। তার জন্য আমরা অভিবাবকদের কাছ থেকে ২০০/- টাকা করে নেই।
এখানে অনিয়ম-দূর্নীতির কি আছে বলেন? আমর সম্মান এবং আমার অবস্থান কেড়ে নেয়ার জন্য কেউ আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উক্ত বিষয়ে ফতুল্লা জোনের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ফতুল্লা জোনের (এ টি ও) বিউটি বেগমের নিকট জানতে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসী বেগমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা ছিলনা, তবে আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানাবো এবং অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
