নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিপণ না পেয়ে যুবক হত্যা


এসএম মিরাজ হোসাইন টিপুঃ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আটি ওয়াপদা কলোনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যাক্ত এক ভবনের নিচতলা থেকে মো. তাকবীর (১৮) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। 

মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে তাকবীরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

মৃত৷ যুবকের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার বিকেল ৪ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ বউবাজার এলাকার ওয়াপদা কলোনী পানিউন্নয়ন বোর্ডের একটি চারতলা পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলায় মরদেহটি পরে থাকা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। 

পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত মো. তাকবীর ঐ এলাকার বাসিন্দা নূর মোহাম্মদের ছেলে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। 

তাকবীরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত থেকে তাকবীর নিখোঁজ ছিলো, তার মুঠোফোন চালু থাকলেও কোনোভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিলো না।

মৃত তাকবীরের বাবা নূর মোহাম্মদ বলেন, মঙ্গলবার সকালে বাসা থেকে বের হয় তাকবীর, রাতে তার ছেলে আর বাসায় ফেরেনি। তার মোবাইল ফোন চালু থাকলেও একাধিকবার ফোন করলে সে ফোন রিসিভ করেনি। 

অতপরঃ বুধবার দুপুরের পরে খবর পাই আমার ছেলের লাশ পাওয়া গেছে।

তাকবীরের বড় ভাই হৃদয় জানান, একটি অচেনা মোবাইল  নাম্বার থেকে আমাদের কাছে ফোন করে আমার ভাইকে আটকে রাখার কথা জানানো হয়, এবং তারা আমার ভাইয়ের মুক্তির জন্য ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। 

আমরা তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলাম। এর কিছুক্ষণ পরই খবর আসে আমার ভাইয়ের লাশ পড়ে আছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (ওসি তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভিকটিমকে গত রাতেই হত্যা করা হয়েছে,তার মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার কাছে পরিত্যক্ত ভবনটিতে মাদক সেবনকারীদের আড্ডা বসার বিষয়টি দৃশ্যমান হয়েছে, এবং মাদক সেবিরাই এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।

বাকীটা লাশের পোস্টমর্টেম পেলে বোঝা যাবে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে৷ মৃত তাকবীরের  পরিবারের কাছ থেকে একটি ফোন নম্বরের কথা উল্লেখ করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। 

আমরা ওই ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। হত্যাকান্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তারে আমরা কাজ শুরু করছি বলে জানান সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন