বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) মহাব্যবস্থাপক (কার্গো সুপারভিশন অ্যান্ড অপারেশন) জামাল হোসেন তালুকদারকে ঘিরে একাধিক অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া গেলেও কোনোটি এখনো স্বাধীনভাবে যাচাই হয়নি। চাকরি পাওয়া ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন অভিযোগে বলা হচ্ছে, ২০১৯ সালে বিএসসিতে চাকরি পাওয়া নিয়ে তার যোগ্যতা ও নথিপত্র নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগকারীদের দাবি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রভাবশালী এক নেতার এলাকার লোক হওয়ায় তিনি বিশেষ সুবিধা পেয়েছেন। এ ছাড়া “ক্যাপ্টেন” পরিচয় ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রশিক্ষণ বা প্রাতিষ্ঠানিক পটভূমি রয়েছে কি না—তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে বলে সূত্রের দাবি। এসব তথ্যের কোনোটি বিএসসির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।
সম্পদ বৃদ্ধির অভিযোগ
চট্টগ্রাম শহরের লালখানবাজার এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ও ব্যক্তিগত গাড়িসহ তার সম্পদ বৃদ্ধি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগকারীদের দাবি, চাকরিতে যোগদানের অল্প সময়ের মধ্যেই এসব সম্পদ অর্জন করা হয়েছে। অভিযোগগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা
স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্র বলছে, তিনি চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ–সভাপতির দায়িত্বে আছেন। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক আন্দোলনে তার উপস্থিতি নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনা রয়েছে।
দেশত্যাগের আশঙ্কার দাবি
কিছু সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে আসার পর তিনি দেশ ত্যাগ করতে পারেন—এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করা হচ্ছে। তবে এই তথ্যও স্বাধীনভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিএসসির কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি
এই বিষয়ে বিএসসির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিযোগগুলো সত্য কি না—তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রয়োজন স্বাধীন তদন্ত। জামাল উদ্দীন বলেন আমাদের এখানে ১৫ জন আইনজীবী কাজ করে তাদের কে বেতন দেওয়া হয়। আপনারা নিউজ করলে আমরা মামলা করবো।
