এ.বি.এম.হাবিব-
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় সরকারী শর্ত মোতাবেক লীজ নিয়ে প্রায় ৪০ বছর ধরে ভোগ দখল করা সম্পত্তি হঠাৎ করে জনৈক ব্যক্তি মিথ্যা দলিলমুলে দখল করার পাঁয়তারায়
মেতে উঠেছে। উক্ত সম্পত্তি নীচু,জলমগ্ন এবং কোন গাছ না থাকা সত্বেও দখল প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সেখান থেকে গাছ কাটার অভিযোগ এনে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে ভোগদখলকৃত ব্যক্তির নিকট থেকে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর
মৌজায় অবস্থিত নজিপুর সরকারী হাই স্কুলের পূর্ব পার্শ্বে মৌজা নম্বর ২১৭, আরএস খতিয়ান নম্বর ১১৯, দাগ নম্বও ১৭৬, এস এ খতিয়ান নম্বর দাগ নম্বও ১৬০ এবং সিএস খতিয়ান নম্বর ৫৬ দাগ নম্বর সিএস দাগ নম্বর ১৬০ মোতাবেক মোট ৬৬ শতক জমির রেকর্ডভুক্ত মালিক কামিনী সুন্দরী ঘোষ। তিনি ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর দেশ ত্যাগ করলে উক্ত সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে সরকারের মালিকানায় চলে যায়। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে উক্ত সম্পত্তি সরকারী বিধি এবং শর্ত মোতাবেক নজিপুর পৌর এলাকার চাঁদপুর কাজিপাড়া নিবাসী মৃত কাজী আব্দুল আজিজের পুত্র কাজী আল মামুন লীজ গ্রহণ করেন। সেই থেকে তিনি উক্ত সম্পত্তির প্রকৃতি নিচু জলমগ্ন এবং ধানী। লীজ গ্রহণের পর (বাংলা) ১৩৯০ থেকে ১৪৩১ পর্যন্ত প্রতি বছর লীজ মানি পরিশোধ করে চেক কেটেছেন এবং ভোগ দখল করে আসছেন। চলতি ১৪৩২ সালের জন্য লীজ মানি জমা দেয়ার জন্য ইউএনও বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে তাঁর আবেদনটি গ্রহণ
করা হয়নি। পরবর্তীতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব বরাবর আবেদন করলে ঐ অফিসের ভিপি শাখার সহকারী কমিশনার প্রশান্ত কুমার স্বাক্ষরিত
স্মরক নম্বর ৩১.৪৩.৬৪০০.১০৬.১২.০০৬.২৪/৮৬৮
বারিখ ২৬-০১-২০২৫ মোবাবেক একটি পত্র উজেলার এসি ল্যান্ড বরাবর পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যে শফিকুল আলম দিং নামের একটি গ্রুপ উক্ত সম্পত্তি নিজেদের দাবী করে, প্রশাসনের উপর প্রভাব বিস্তার করে আসছে। ১৯৭১ সালে রেজিষ্ট্রি অফিসে আগ্রিসংযোগের কারনে সকল রেকর্ডপত্র ভস্মিভুত হয়ে গেছে। এই সৃুযোগে উক্ত শফিকুল ইসলামরা ভুয়া দলিল প্রস্তুত বা সৃষ্টি করে উক্ত সম্পত্তির মালিকানা দাবী করে। এই দাবীকে প্রতিষ্ঠিত করতে উক্ত সম্পত্তির উপর বেশ কিছু বড় বড় গাছ ছিল এবং সেগুলো কাটা হয়েছে মর্মে পত্নীতলা থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন শফিকুল ইসলাম। মামলা নম্বর জি আর কেস ৩০৮/২৫ তারিখ ৪-০৬-২০২৫ ইং। এইা মিথা মামলায় দাবী করা হয় যে উক্ত সম্পত্তির উপ থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকার গাছ কাটা হয়েছে। অথচ্ সরেজমিন দেখা গেছে, জায়গাটি ডোবা থাকায় সেখানে কোনদিন, কোন গাছ ছিলনা। তাদেরকে অযথা হয়রানী করা হচ্ছে। মামলার
ভয়ে তারা আতঙ্কিত জীবন যাপন করছেন। এ ব্যাপারে মামুন সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পত্নীতলা থানার অফিসার্স ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুর রহমান বলেছেন এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনুসন্ধানে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। কাগজপত্র দেখে প্রকৃত মালিক সনাক্ত করে ভোগদখল তার হাতেই সমর্পন করা হবে বলে তিনি জানান।
