৪ ডিসেম্বর বাদ জোহর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে ওরসের সূচনা হয়। তিন দিনব্যাপী এ আধ্যাত্মিক আয়োজনে অংশ নিতে দেশ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্ত, মুরিদ ও আশেকানরা ভিড় করেন। ৬ ডিসেম্বর বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ওরসের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় ।
ওরসকে কেন্দ্র করে এলাকার সর্বত্র বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। মাজার প্রাঙ্গণে বসেছে নানা পণ্যের হাট-বাজার, আর ভক্তরা আশপাশের বিভিন্ন স্থানে কাফেলা স্থাপন করে আয়োজন করেছেন বাউল গানের আসর—যা মাজার এলাকা থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়েছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, “আধ্যাত্মিক সাধক আব্দুস সাত্তার খান সংসারজীবন ত্যাগ করে দীর্ঘ ৪১ বছর মহান আল্লাহর ইবাদত-সাধনায় নিজেকে নিমগ্ন রেখেছিলেন। তিনি ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর অগণিত ভক্ত এখানে আসেন এবং ইসলামের খেদমতে কুরআন তেলাওয়াত ও জিকির-আসকার করেন।”
তিনি আরও জানান, মাজারে সিজদাহসহ সব ধরনের শিরক ও বিদআতি কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হেলিম ভূইয়া বলেন, “ওরস উপলক্ষে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মাজারের নতুন অবকাঠামো নির্মাণকাজ চলমান। তা সম্পন্ন হলে এখানে বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, এতিমখানাসহ বিভিন্ন সামাজিক-উন্নয়নমূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, হযরত সুফি আব্দুস সাত্তার খান (রহ.)–এর আদর্শ সমাজে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈষম্যহীন সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষ্যেই দরবার শরীফের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
